বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা ও সাংসদ আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। এক বছর আট মাস ধরে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। দীর্ঘদিন ব্যয়বহুল চিকিৎসা শেষে এখন সুস্থ হওয়ার পথে খ্যাতিমান এ অভিনেতা।
২০২১ সালের ৪ মার্চ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যান ফারুক। অসুস্থতা অনুভব করলে চিকিৎসকের পরামর্শে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর থেকে হাসপাতালটিতে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
তবে হাসপাতালের ব্যয় বহন করতে গিয়ে তার তিনটি বাড়ি বিক্রি করতে হয়েছে। এছাড়া গ্রামের বাড়ির অনেক সম্পত্তিও বিক্রি করতে হয়েছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমকে এমনটা নিজেই জানিয়েছেন ফারুক।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রায় চার বছর ধরে আমি অসুস্থ। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে অনেক বেশি টাকা লাগে। আমার চিকিৎসার জন্য আমার সারাজীবনের সঞ্চয় তিনটা বাড়ি বিক্রি করেছি। গ্রামের অনেক সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছি।’
তার চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক সহায়তা করেছেন বলেও জানান এই সংসদ সদস্য ও অভিনেতা।
আগামী বছর দেশে ফেরার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে ফারুক বলেন,‘ডাক্তার বলেছেন সামান্য অসুস্থতা আছে। শতভাগ সুস্থ হতে আরও দুইমাস সময় লাগবে। চাইলে এখনই দেশে ফিরে যেতে পারি। যেহেতু ডাক্তার আরও দুই মাসের কথা বলেছেন তাই ডাক্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সবকিছু করতে হচ্ছে। আল্লাহ চাইলে নতুন বছরের শুরুর দিকে দেশে ফিরব, ইনশাহআল্লাহ।’
১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন ফরুক। তিনি অভিনয় করেছেন শতাধিক চলচ্চিত্রে। উল্লেখযোগ্য সিনেমা ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘মিয়া ভাই’।
এর মধ্যে ‘লাঠিয়াল’ সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন ফারুক। ২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে তাকে দেওয়া হয় আজীবন সম্মাননা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে সফল ও সেরা নায়কদের একজন হিসেবে স্বীকৃত।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফারুক।