বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখ চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ভারতীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করে মন জয় করেছেন সবার। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
সিনেমায় আগের মতো অঢেল না হলেও এখন কাজ করছেন বেছে-বেছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘বিউটি সার্কাস’। চলতি মাসেই শুরু করেছেন ‘আহারে জীবন’ ছবির কাজ।
সম্প্রতি রায়হান রাফির দামাল সিনেমার প্রচারণায় গিয়েছিলেন এই রোমান্টিক চিরসবুজ নায়ক। সেখানে একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন এই অভিনেতা।
চলচ্চিত্র শিল্পীদের নিয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এতে করে ইন্ডাস্ট্রির উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না? জানতে চাইলে ফেরদৌস বলেন, না, না। এটা কোনো প্রভাবই ফেলছে না। চলচ্চিত্র শিল্পীদের নিয়ে তো বিতর্ক হবেই। চলচ্চিত্রের মানুষদের নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহ অনেক বেশি। তবে আমাদের ফিল্ম স্টারদের উচিৎ ব্যক্তিগত বিষয়ে প্রকাশ্যে না আনার চেষ্টা করা। কারণ মানুষ আমাদের রোল মডেল ভাবে। সুতরাং মানুষ যেনো আমাদের রোল মডেল হিসেবেই দেখে।
বলিউডসহ বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে সিনিয়র শিল্পীরাও দাপিয়ে কাজ করছে। কিন্তু আমাদের দেশে এই প্রবণতাটা এতো কম কেনো? ফেরদৌস বলেন, আমার প্রজন্মকে নিয়েই যদি বল; শাবনূর, মৌসুমী, পূর্ণিমা, পপি, রিয়াজ, আমিন খান, অমিত হাসানসহ আরও যারা আছেন সত্যি কথা বলতে আমাদের নিয়ে কেউ-ই ভাবে না। আমাদের নিয়ে সেই ধরণের চরিত্রটা কেউ ভাবে না। এখনো আমার কাছে সিনেমা আসে, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। আমার নিজের কাছে তো এই চরিত্রে আমি স্বস্তি বোধ করি না। আমার বয়স ও আমার ইমেজ নিয়েই আমার কাছে কাজ আসতে হবে। আমাকে ভেবে কিছু তৈরি করতে হবে। আর বাইরের দেশগুলোতে একজন অভিনেতার বয়স ও ইমেজের উপর গল্প তৈরি করা হচ্ছে। সেই দিক থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। ফলে আমাদের বহু শিল্পী সময়ের আবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে।
নতুনদের কাজ নিয়ে তিনি বলেন, ভালো কাজের কোনো বিকল্প নেই। ভালো সিনেমা করতে হবে। কারণ মানুষ আমাদের কাছ থেকে নতুন নতুন কিছু দেখতে চায়। সেই হিসেবে এখন ওদের/তাদের ওপর বড় দায়িত্ব পড়ে গেছে। যাতে ওদের/তাদের পরে যারা আসবে তারা ভালো কাজ করতে পারে। আমরা রাজ্জাক-আলমগীর, সালমান শাহ’র মতো দুর্দান্ত অভিনেতাদের কাছে থেকে শিখেছি। এদের দায়িত্ব এমন কিছু নজির তৈরি করা যাতে তাদের পরবর্তী যারা আসবে তারা যেনো কিছু শিখতে পারে।