প্রচণ্ড শব্দে গান বাজিয়ে বাড়িতে একে একে মা, বোন, দাদা ও এক প্রতিবেশীকে কুপিয়ে খুন করেছে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর। খুনের পর একে একে মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করে সে। এ ঘটনায় তাকে আটক করেছে পুলিশ।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা থেকে ৯০ কিমি দূরে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী দুরাই শিববাড়ি এলাকায় শনিবার (৫ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে।
অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনস্পেক্টর জেনারেল অব পুলিশ জ্যোতিষ্মান দাস চৌধুরী জানিয়েছেন, নিহতরা হলেন ওই কিশোরের দাদা বাদল দেবনাথ (৭০), মা শমিতা দেবনাথ (৩২), বোন সুপর্ণা দেবনাথ (১০) ও প্রতিবেশী আত্মীয় রেখা দেব (৪২)।
পুলিশ জানায়, উঠানের পাশে একটি গর্তে নিহতদের দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ওই কিশোর মাদকাসক্ত। তার বাবা একটি দোকানে কর্মচারীর কাজ করেন। আর্থিক অসচ্ছল পরিবারে নেশার টাকার জন্য নিয়মিত অশান্তি লেগেই ছিল। আর্থিক বিবাদের জেরে ভোঁতা কোনো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে ওই কিশোর।
প্রতিবেশীদের দাবি, শনিবার বিকেল ৩টা নাগাদ বাড়িতে প্রচণ্ড শব্দে গান বাজাচ্ছিল ওই কিশোর। তখনই তাঁদের বাড়ি থেকে আর্ত চিৎকারসহ বিভিন্ন শব্দ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। সম্ভবত আর্তনাদ চাপা দেওয়ার জন্যই ওই কিশোর এই পরিকল্পনা নিয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রক্তের দাগ। উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা কুড়ুল। আজ রোববার হালহালি বাজার থেকে ওই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।