ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় দাম্পত্য কলহের জেরে রাতে স্ত্রী-সন্তানকে কাছে না পাওয়ায় শাশুড়ি রহিমা বেগমকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের সাভার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রহিমা বেগম উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের সাভার গ্রামের ইদ্রিস মাতুব্বরের স্ত্রী। অভিযুক্ত ব্যক্তি মাগুরা জেলার মোহাম্মাদপুর থানার বিনোদপুর গ্রামের ইমাম মোল্লার ছেলে মো. ইউনুস মোল্লা ওরফে সাগর। তিনি ঢাকায় সিএনজি চালান।
নিহত রহিমা বেগমের মেয়েরা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে আমাদের বোন শিউলী আক্তারের সঙ্গে সাগরের বিয়ে হয়। তাদের একটা কন্যাসন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শিউলীকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন তার স্বামী সাগর। তিনি মাদকাসক্ত। এ কারণে প্রায় পাঁচ বছর আগে শিউলী বাবার বাড়িতে চলে আসেন। শিউলী বাড়িতে থাকাকালীন জীবিকার তাগিদে বিদেশে চলে যান। সেখানে দুই-তিন বছর থাকার পর বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর থেকে তার স্বামী সাগর প্রায়ই শ্বশুরবাড়িতে এসে স্ত্রীর কাছে থাকতেন। তবে তাদের মধ্যে আবারও ঝামেলা শুরু হয়।
আরও পড়ুন… বাংলাদেশি তরুণীকে জোরপূর্বক সিঁদুর পরালেন ভারতীয় যুবক
তিনি আরও জানান, গত দুই দিন আগে শ্বশুরবাড়িতে আসেন সাগর। এবার আর রাতে স্ত্রী-সন্তানের কাছে থাকতে দেননি শাশুড়ি। তিনি সাগরকে আলাদা বিছানায় থাকতে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। শুক্রবার রাতে সাগর স্ত্রীর কাছে গিয়ে ঘুমাতে চাইলে শাশুড়ি বাধা দেন। এ সময় ঘরের মধ্যে শাশুড়িকে চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপান সাগর। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সাগর পালিয়ে যান। এ সময় শাশুড়িকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন… কমলাপুরে ট্রেনে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের দায়ের করেছেন। মামলায় সাগরকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।