বিশ্বকাপের সঙ্গে যেন নেইমারের আড়ি। ২০১৪ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা নেইমার ভয়াবহ এক চোটে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন। পরের আসরে খেলেছিলেন ছয় মাস ইনজুরিতে ভোগার পর। এবার ফিট ও ইন ফর্ম নেইমার কাতারে এসেছিলেন।
ম্যাচের আগের দিন থিয়াগো সিলভা বলেছিলেন, এবার ভিন্ন নেইমারকে দেখা যাবে। কিন্তু সার্বিয়ার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই চোটে পড়েছেন নেইমার। এবারও বেশ কয়েকবার গুরুতর ট্যাকলের শিকার হন তিনি। কিন্তু ম্যাচের ১০ মিনিটে থাকতে তাকে করা ট্যাকল ছিল আর ভয়াবহ। যে কারণে মাঠ ছাড়তে হয় তার।
ইনজুরিতে দলের ২-০ গোলের জয় সাইডলাইনে বসে দেখতে হয়েছে পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। তার চোখে মুখে লেগে ছিল শঙ্কা। ব্রাজিল শিবির থেকে জানানো হয়েছে, নেইমারের গোড়ালি মচকে গেছে। নেইমারের পায়ের যে ছবি ছড়িয়ে পড়েছে তাতে দেখা গেছে, গোড়ালি অনেকটা ফুলে গেছে। ব্রাজিল দলে এখন নেইমারের বিশ্বকাপ শেষের শঙ্কা।
ম্যাচ শেষে ব্রাজিল দলের চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন যে, নেইমারের গোড়ালি মচকে গেছে। গোড়ালির অবস্থা কী পর্যায়ে আছে ম্যাচ শেষেই বলতে পারেনি তিনি। পরিষ্কার ধারণা পেতে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা নেইমারকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। অথচ তিনদিন পরেই ব্রাজিলের পরবর্তী ম্যাচ।
টিম ডক্টর ভয়ের কথা বললেও ব্রাজিলের কোচ তিতে আশা করছেন নেইমার সুস্থ হয়ে উঠবেন। অন্তত তার বিশ্বকাপ শেষ নয় বলে জোর দিয়ে বলেছেন কোচ, ‘আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন নেইমার বিশ্বকাপে খেলবে। আপনারা অবশ্যই নিশ্চিত থাকতে পারেন যে, নেইমার বিশ্বকাপে আরও ম্যাচ খেলবে।’