বিশ্বকাপ শুরু হতে আর ৬ দিন বাকি। এর মধ্যে বোমা ফাটালেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। টকটিভির পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পর্তুগিজ সুপারস্টার বলেছেন, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ওরা আমাকে কুলাঙ্গার বানিয়ে ছেড়েছে।’ সরাসরি কোচ এরিক টেন হাগের প্রতি আঙুল তুলেছেন রোনালদো। বলেছেন, ‘টেন হাগের প্রতি আমার কোনো সম্মান নেই।’
গ্রীষ্মকালীন দলবদলে আলোচনায় ছিলেন রোনালদো। তার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়তে চাওয়া নিয়ে কম নাটক হয়নি। যদিও শেষতক ইউনাইটেডেই থেকে গেছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। তবে শুরুর একাদশে সুযোগ মিলছিল কমই। গত মাসে টটেনহ্যামের বিপক্ষে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে খেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় চেলসির বিপক্ষে রোনালদোকে স্কোয়াডেই রাখেননি টেন হাগ।
বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রোনালদো। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে সম্মান না দেন আমি কেন আপনাকে সম্মান করবো? তার (টেন হাগ) প্রতি আমার কোনো শ্রদ্ধা নেই।
কারণ, তিনিও আমাকে শ্রদ্ধা দেখাননি।’
৯০ মিনিট দীর্ঘ ইন্টারভিউয়ে টেন হাগসহ ক্লাবের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন রোনালদো। তিনি বলেন, ‘শুধু টেন হাগ নয়, ক্লাবের আরও দু-তিনজন আমাকে বের করার চেষ্টা করেছে। আমার সঙ্গে বেইমানি করা হয়েছে। আমি বুঝতে পেরেছি, এখানকার কিছু লোক আমাকে দেখতে পারে না। শুধু এই বছর নয়, গতবারও তারা আমাকে ইউনাইটেডে চায়নি।’
গত এপ্রিলে সন্তান হারান রোনালদো। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকার অভিযোগ, ওই সময় ক্লাবের কাছ থেকে তিনি যতটুকু সহমর্মিতা আশা করেছিলেন, ততটুকু পাননি। উল্টো তার নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। রোনালদো বলেন, ‘আমার মনে হয়, ভক্তদের সত্যটা জানা উচিৎ। আমি ক্লাবের ভালোই চেয়ে এসেছি। এ কারণেই ম্যানচেস্টারে এসেছিলাম।’
ইউনাইটেডের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া হতাশই করেছে রোনালদোকে। তিনি বলেন, ‘স্যার ফার্গুসন ক্লাব ছাড়ার পর কোনো বিবর্তন দেখিনি ইউনাইটেডের। তাদের উন্নতি শূন্য।’ ওলে গানার সুলশার বরখাস্ত হওয়ার পর অন্তর্বর্র্তীকালীন কোচ হিসেবে রালফ রাংনিককে নিয়োগ দেয় ইউনাইটেড। কিন্তু রাংনিক আরও বাজে অবস্থানে রেখে যান ক্লাবকে। রোনালদো রাংনিকের সমালোচনা করে বলেন, ‘আপনি যদি কোচই না হন তো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বস কীভাবে হবেন? আমি তার (রাংনিক) কথা কখনো শুনিনি।’