Breaking News

শ্রমিকদের ‘জামাই আদরে’ রাখা সম্ভব নয় : শতাব্দী রায়

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ও অভিনেত্রী শতাব্দী রায় বলেছেন অন্য রাজ্য থেকে যেসব পরিযায়ী শ্রমিককে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে এবং কোয়ারিন্টাইন সেন্টারে রাখা হচ্ছে তাদের সবাইকে একসঙ্গে জামাই আদর দেওয়া সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে যাওয়া বহু মানুষ লকডাউনের কারণে আটকে পড়ে। সম্প্রতি তাদের ট্রেনে ও বাসে করে রাজ্যে নিয়ে আসার পর বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানেই নানারকম অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে।

নোংরা-দুর্গন্ধ থাকার জায়গার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি, খাবার, বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ তোলে একাধিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বিক্ষোভ, প্রতিবাদও দেখানো হচ্ছে। আর সেই প্রসঙ্গেই শতাব্দী রায়ের এই প্রতিক্রিয়া। বীরভূম জেলার বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলো নিয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য গত কয়েকদিন ধরেই জেলার ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসারদের (বিডিও) সঙ্গে দেখা করেছেন বীরভূম কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়।

এদিন সাঁইথিয়ার বিডিও-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর গণমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ‘হাজার হাজার লোকের সমস্যা- সবাই যদি জামাই আদার চায় সেটা দেওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। মাছ দিলে তারা বলছে মাংস হয়নি, মাংস দিলে বলছে ডিম হয়নি। এখন সবাই অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। এতদিন পর ওখান থেকে ফিরছে, বাড়ি যাওয়ার জন্য অস্থির হচ্ছে।’

এ সময় একটি উদাহরণ টেনে তিনি বলেন ‘এটা স্বাভাবিক যে আপনাদের বাড়িতে যদি একজন আসেন তাকে আপনি যতটা যতœ করতে পারবেন, এক হাজার লোক আসলে সেটা করতে পারবেন না। তাই এই ক্ষোভ-বিক্ষোভগুলো তৈরি করা হয়েছে।’ তার অভিমত ‘এখন হলো বাঁচার লড়াই, তাই এগুলো একটু মানিয়ে নিতে হবে।’

তৃণমূল কংগ্রেসের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই ঘোলা পানিতে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে বিজেপি। দলের সাংসদ ও রাজ্যটির বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন এটাই তৃণমূলের দৃষ্টিভঙ্গি। তিনি বলেন ‘তৃণমূলের নেতাদের এই বক্তব্যেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, এই শ্রমিকদের প্রতি সামান্য সহমর্মিতা বা মানবিকতা তাদের নেই।’

Check Also

জুলুম থেকে বাঁচতে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন

মহানবী (সা.) যেকোনো ধরনের জুলুম থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে একটি দোয়া পড়তে বলেছেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *