যক্তরাষ্ট্রে চলমান বিক্ষোভ দমনে ১০ হাজার সক্রিয় সৈন্য চেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস থেকে সম্প্রতি এ সৈন্য চাওয়া হয়েছে বলে খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
এসব সৈন্য যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ অন্যান্য শহরে মোতায়েন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই এ সেনা চাওয়া হয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
পেন্টাগনের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন বলছে, প্রেসিডেন্ট সৈন্য চাইলেও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার, সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলি এবং অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বার সেনা মোতায়েন না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে হত্যার জেরে ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রায় সব শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে অন্তত ৪০টি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
এর মধ্যে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার একাধিক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশের হেফাজতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে নিয়ে প্রকাশিত ভিডিওতে হত্যার দৃশ্যের পূর্বের।
ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের গাড়ির পেছন সিটে তার সঙ্গে তিনজন পুলিশের অস্বাভাবিক কিছু একটা হচ্ছে। অন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তা বাইরে দাঁড়িয়ে চতুর্দিকে দেখছে।
ধারণা করা হচ্ছে, গাড়ির মধ্যে জর্জ ফ্লয়েডের সঙ্গে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তার ধস্তাধস্তি হচ্ছে।
এর আগে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ কর্মকর্তা গাড়ির নিচে হাঁটু দিয়ে ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরে। তখন ফ্লয়েড বারবার বলতে থাকে, আমি শ্বাস নিতে পারছি না। পরবর্তীতে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়।
গত ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে জর্জ ফ্লয়েড নামে ওই ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জর্জের মৃত্যু ঘটে। ইতোমধ্যে ওই চার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার জন্য মূল অভিযুক্ত ডেরেক শভিনকে সোমবার আদালতে হাজির করা হবে।