করোনাভাইরাসে দেশে একদিনে আরও ৫২১ জন সুস্থ হয়েছেন। এনিয়ে মোট ১৩ হাজার ৩২৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
৫০টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ হাজার ৯০৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৪৮৬টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫১টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৬৩৫ জনের দেহে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৩ হাজার ২৬ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৫ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ৮৪৬ জনের। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫২১ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১৩ হাজার ৩২৫ জন।
মৃত ৩৫ জনের মধ্যে ২৮ পুরুষ এবং সাতজন নারী। এরমধ্যে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সের দুজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের নয়জন এবং আশি ঊর্ধ্ব একজন।
এখন পর্যন্ত মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৭৭ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং নারী ২২ দশমিক ৯৩।
এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ২০ জন, চট্টগ্রামের বিভাগের ৮ জন, সিলেটে দুইজন, রাজশাহীতে তিনজন এবং বরিশাল বিভাগে দুজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৫ জন, আর বাড়িতে মারা গেছেন নয় জন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন।
দেশে ভাইরাসটিতে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান ডা. নাসিমা।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।