খুলনা মেডিকেল থেকে নেগেটিভ ছাড়পত্র দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একই পরিবারের ৩ সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ঘটনায় অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ফ্লু কর্ণারের ফোকালপারসনকে। ডাক্তার-নার্সসহ ১৪ জনকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে।
প্রকৃত ঠিকানা গোপন রেখে গত ২৯ মে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা নমুনা পরীক্ষা করাতে আসেন স্বামী, স্ত্রী ও তাদের এক সন্তান। পরীক্ষা শেষে ফ্লু কর্নারের ফোকালপাসন ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, তারা কেউই করোনায় আক্রান্ত নন। দেয়া হয় ছাড়পত্র। পরে তিনজনই ফ্লু কর্নার থেকে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে সাধারণ রোগিদের সাথে রাতে অবস্থান করে পরিদন চলে যান। ৩১ মে জানানো হয় তিনজনই করোনা পজেটিভ।
করোনা নমুনা পরীক্ষার একদিন পর ফলাফল জানা যায়। ফোকালপারসন পরীক্ষার ফলাফল হাতে না পেয়েই আগেভাগে তিনজনকে জানিয়ে দেন তারা করোনা নেগেটিভ। এই ঘটনার পর মেডিসিন ওয়ার্ডের ডাক্তার-নার্সসহ ১৪ জনকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে।
খুমেক হাসপাতালের পরিচালক মুন্সী মো. রেজা সেকেন্দার জানান, ছোট একটি ভুলের বড় মাশুল দিতে হচ্ছে তাদের। এরই মধ্যে অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে শৈলেন্দ্র নাথ বিশ্বাসকে।
তবে শৈলেন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানান, আমার কাছে ফোনে যে রিপোট আসে তাই জানায় দেই। এখানে তার কোনো গাফিলতি নেই।
করোনার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে দায়িত্বরতদের আরও বেশি সতর্ক থেকে কাজ করার তাগিদ বিশিষ্টজনদের