Breaking News

হ’ত্যার পর গৃহবধূর লাশ রেখে পালালেন স্বামী

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় হত্যার পর এক গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।

শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের শিংহপ্রতাপ গ্রাম থেকে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত গৃহবধূর নাম রোজিনা বেগম (২৩)। তিনি শিংহপ্রতাপ গ্রামের হারুন মোল্লা ওরফে আশিক মোল্লার (৩০) স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, তিন বছর আগে সদর উপজেলার ঘোরাদা গ্রামের আ. ওয়াহেদের মেয়ে রোজিনার সঙ্গে সালথা উপজেলার শিংহপ্রতাপ গ্রামের নুরুল ইসলাম মোল্লার ছেলে হারুন মোল্লা ওরফে আশিক মোল্লার বিয়ে হয়।

তাদের সংসারে এক বছর বয়সের একটি মেয়েসন্তান রয়েছে।

রোজিনার বড় ভাই কাইয়ুম মোল্লা বলেন, রোজিনার স্বামী আশিক মোল্লা বেকার, বখাটে ও নেশাখোর হওয়ায় তাদের সংসারে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি চলছিল। কিছু দিন আগে আশিক আরও এক নারীকে বিয়ে করে ঘরে আনেন।

এ নিয়ে তাদের সংসারে বড় ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি হয়। মাঝেমধ্যেই রোজিনাকে তার স্বামী মারপিট করতেন।

শনিবার রাত ১১টার দিকে আমরা খবর পেয়ে রোজিনার শ্বশুরবাড়িতে যাই। সেখানে ঘরের ভেতর রোজিনার মৃতদেহ দেখতে পাই। রোজিনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

আমাদের ধারণা, রোজিনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় রোজিনার স্বামী ও তার পরিবারের কোনো সদস্যকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তারা সবাই পালিয়ে গেছে। আমার বোনকে যারা হত্যা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

রোজিনার স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায়, তাদের কোনো বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে এ ঘটনায় রোজিনার বড় ভাই কাইয়ুম মোল্লা বাদী হয়ে সালথা থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সালথা থানার ওসি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, রোজিনার মৃতদেহ উদ্ধার করে রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Check Also

জুলুম থেকে বাঁচতে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন

মহানবী (সা.) যেকোনো ধরনের জুলুম থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে একটি দোয়া পড়তে বলেছেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *