‘এই সরকার খুব বেশি দিন নাই। এ বছর যায় কি যায় না। আমাদের নেতাকর্মীরা অনেক কষ্ট করেছেন। আর বেশি দিন কষ্ট করা লাগবে না। অনতিবিলম্বে এই সরকার পদত্যাগে বাধ্য হবে। কেয়ারটেকারের (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) অধীনে নির্বাচন হবে এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।’
শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনার বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।
নগরের ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্বরে আয়োজিত গণসমাবেশে কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিগগিরই আপনাদের ঢাকা বিমানবন্দরে যাওয়া লাগবে। আমাদের নেতা আসবেন, তাকে বিমানবন্দরে রিসিভ করতে (স্বাগত জানাতে) আপনারা সবাই তৈরি আছেন?
সরকার এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, যদি সত্যিকারের ইলেকশন (নির্বাচন) হয়, আপনারা ১০টার বেশি আসন পাবেন কি না, সন্দেহ আছে। সময় থাকতে বেগম জিয়াকে মুক্তি দেন। তারেক রহমানকে সসম্মানে দেশে আসার সুযোগ দেন। যারা জেলে আছে মুক্তি দেন। ১ লাখ মামলায় যে ৩৬ লাখ আসামি করেছেন, সেসব মামলা প্রত্যাহার করেন। না হলে আজ জনতা বিচারের জন্য তৈরি আছে।
তিনি বলেন, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপির ৫ জন নেতা–কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, তারা এমনি এমনি ছেড়ে দেবেন না। দাবি একটাই পদত্যাগ করেন; দাবি একটাই চোরাই সংসদ ভেঙে দেন। দাবি একটাই আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর অধীনে কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না।