দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকী দেড় বছরেরও কম সময়। নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমাবেশ করছে বিএনপি। বিএনপি প্রথমে শুধুমাত্র রাজধানীকেন্দ্রিক সভা-সমাবেশ করলেও এখন বিভাগীয় পর্যায়ে এই সমাবেশগুলো করছে। গত বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) চট্টগ্রামে সমাবেশ করার পর গতকাল শনিবার (১৫ অক্টোবর) ময়মনসিংহে মহাসমাবেশ করেছে দলটি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি ইস্যুতে বিএনপি এই সভা-সমাবেশ করছে। ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতেও বিএনপি মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
বিএনপির এই মহাসমাবেশের পাল্টা জবাব হিসেবে আওয়ামী লীগও বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামছে। আর সেই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় শোডাউন করতে যাচ্ছে ২৯ অক্টোবর।
ওই দিন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাডারকে নিশ্চিত করেছে। ঢাকা জেলার আওয়ামী লীগের এই সম্মেলনে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীসহ লক্ষাধিক লোকের বেশি সমাগম হবে বলে ধারণা করছেন নেতাকর্মীরা। কারণ, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিবেন। এর মধ্যদিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিএনপির মহাসমাবেশের পাল্টা জবাব দিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
এবারের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন জাঁকজমকপূর্ণ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম অনেকটাই নিষ্ক্রিয়।
মূলত ঢাকা মহানগরের আড়ালে ঢাকা পড়েছে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম, এমনটাই মনে করছেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিতিতে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন যে ঢাকার রাজনীতিতে একটি অন্যতম মাত্রা যোগ করবে সেটা বলাই বাহুল্য। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই মাঠে নামার মধ্য দিয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন। পাশাপাশি বিএনপির মহাসমাবেশের পাল্টা জবাবও এই সম্মেলনের মধ্যদিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।