জাতীয় পার্টির সব পদ থেকে বহিষ্কারের পর এবার দলের সাধারণ সদস্য পদও হারালেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ। শনিবার দলের বনানী কার্যালয়ে প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভায় রাঙ্গাঁকে দলের সাধারণ সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইফ ও জাপার সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামসহ সব ধরনের পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
এদিকে যৌথ সভা শেষে দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এক সংবাদ বিফ্রিং করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি করবেন না। তাই তার বিরোধীদলীয় হুইপের পদে থাকার প্রশ্নই আসে না।’
দল থেকে রাঙ্গাঁর সাধারণ সদস্যপদ চলে গেলে আইন অনুযায়ী তিনি সংসদ সদস্যপদ এবং বিরোধী দলীয় চিফ হুইপের পদও হারাবেন বলে ইঙ্গিত দেন চুন্নু।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব, বিরোধী দলের চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ ঢাকা টাইমসকে বলেন, এ খবর আনুষ্ঠানিকভাবে দলের তরফ থেকে এখনও তাকে জানানো হয়নি। তিনি বলেন, ‘সাধারণ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমি অবাক হচ্ছি না। আই অ্যাম নট আনহ্যাপি।’
রওশন এরশাদের ডাকা কাউন্সিল প্রত্যাহার না করলে রওশনকেও বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয় জাপার ওই যৌথ বৈঠকে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রাঙ্গাঁ বলেন, ‘এটি এরশাদের হাতে গড়া পার্টি। আর তার স্ত্রী রওশন এরশাদকে বহিষ্কার করা অন্যায়।’ তিনি বলেন, ‘রওশন এরশাদ দলের জন্য জেলও খেটেছেন। আর তাকে বহিষ্কার করলে তা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মেনে নেবে না।’
জিএম কাদের দলীয় নিয়ন্ত্রণ কীভাবে পায়, ইঙ্গিত করে রাঙ্গাঁ বলেন, ‘কেউ মারা যাওয়ার পর সমাজের নিয়ম অনুযায়ী তার সম্পদ বা অন্যান্য সবকিছুর ভাগ স্ত্রী ও সন্তানরা পায় আগে। আর ভাই বা অন্যরা পাওয়া তো বহু পরের কথা।’