নাম মো. মুক্তার হোসেন। ২০০৮ সালে রাজধানীর বারিধারায় ‘এভিনিউ’ নামে একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটার হিসেবে কাজ করতেন। সেই মুক্তার এখন শতকোটি টাকার মালিক। যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে গাড়ি-বাড়ি। সেখানে বসবাস করেন তার স্ত্রী ও সন্তানরা।
রাজধানীর উত্তরায় তার একটি বার রয়েছে, এখানে প্রতিদিন সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের যাতায়াত ছিল।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাতে উত্তরার-১৩ নম্বর সেক্টরের গরীবে নেওয়াজ রোডে অবস্থিত একটি ভবনে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই ভবনেই ‘কিংফিশার রেস্টুরেন্ট’ নাম দিয়ে বার চালাতেন মুক্তার। সেখান থেকে প্রায় ৫০০ বোতল মদ ও ছয় হাজার ক্যান বিয়ার জব্দ করে ডিবি পুলিশ। এ সময় বার ম্যানেজারসহ ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মুক্তার হোসেন পলাতক। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
হারুন অর রশীদ বলেন, আমাদের কাছে গোপন তথ্য ছিল যে, উত্তরার ওই ভবনে গান-বাজনার নামে ছেলেমেয়েরা ডিজে পার্টি করছে। একই সঙ্গে সেখানে বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ মদ। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
প্রথমে ভবনের সাততলায় গিয়ে ডিবির দল দেখে অনেক ছেলেমেয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে। পরে ভেতরে গিয়ে দেখে সেখানে প্রচুর বিদেশি মদ ও বিয়ার। ডিবির দল ৫-৬ তলায় গিয়ে একই অবস্থা দেখতে পায়।
কাগজপত্র দেখতে ডিবি পুলিশ বাড়িটিতে রাত ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে। তারপরও তারা কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
এরপর বার থেকে ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়েছে। সে মামলায় আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
ডিবি জানায়, মুক্তার হোসেনের আরও বার রয়েছে। মিরপুর, গুলশান ও নারায়ণগঞ্জসহ পাঁচটি বার চালান তিনি।