ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিয়ের দাবিতে তৃতীয়বারের মতো প্রেমিক সাকিবুল ইসলাম সাকিবের (২০) বাড়িতে অনশনে বসেছে এক কিশোরী।শনিবার দুপুর থেকে ওই কিশোরী উপজেলার লাউর ফতেহপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ খবরে সাকিবুলের বাড়িতে ভিড় জমায় উৎসুক মানুষ। তবে খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে পুলিশ সাকিবুলের বাড়িতে গিয়ে সাকিবুল ও অনশনরত ওই কিশোরীকে থানায় নিয়ে আসে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামেরও ওই কিশোরী এ বছর স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এর আগেও দুবার একই দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন করেছে মেয়েটি। ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের আশ্বাস দেওয়া হলেও কার্যত তেমন কোনো সমাধান না হওয়ায় তৃতীয়বারের মতো মেয়েটি অনশনে বসে।ওই কিশোরী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সাকিবুল ইসলামের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক।
সাকিবুলের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার তা মেনে নিচ্ছে না। পারিবারিকভাবে তাকে অন্যত্র বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। তাই সে নিজের ইচ্ছায় সাকিবুলের বাড়িতে এসে বিয়ের জন্য অনশন করার সিদ্ধান্ত নেয়।প্রেমিক সাকিবের মা ফেরদৌসি বেগম বলেন, ৪-৫ বছর ধরে সাকিবুলের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলছে। আমরা চাই বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধান হোক।এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সাকিবুলের বাড়ি থেকে সাকিবুল ও ওই কিশোরীকে থানা নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সপরিবারে আত্মগোপনে প্রেমিক, বিয়ের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর
অনশননওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় বিয়ের দাবি নিয়ে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী (২৩) দুই দিন ধরে এক যুবকের বাড়িতে অনশন করছেন।গতকাল শনিবার থেকে অনশন বসেছেন ওই তরুণী। বিয়ের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়াসহ আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের পারইটুঙ্গী গ্রামে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের নাম মিঠুন কুমার মণ্ডল (৩২)। তিনি বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের পারইটুঙ্গী গ্রামের বিমল চন্দ্র মণ্ডলের ছেলে। নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। গত শনিবার ওই নারীর আসার পর থেকে সপরিবারে আত্মগোপনে রয়েছেন ওই যুবক।ভুক্তভোগী তরুণী জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে প্রায় এক বছর আগে মিঠুন কুমারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।
একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সূত্র ধরে মিঠুন রাজশাহী শহরে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার দেখা সাক্ষাৎ করেন।ওই তরুণী আরও বলেন, ‘গত ২২ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে মিঠুন আমাকে রাজশাহী শহরের বোয়ালিয়া থানার পাশে একটি ছাত্রাবাসে নিয়ে যান। মিঠুনের মামাতো ভাই রকি ওই ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করতেন। ওই রাতে আমি ও মিঠুর একই কক্ষে রাতযাপন করেছি। এ সময় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মিঠুন আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়।’ভুক্তভোগী ওই তরুণী অভিযোগ করে বলেন, ‘মিঠুন আমার সঙ্গে এখন যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। মোবাইল ফোনও রিসিভ করেন না।
এ অবস্থায় অনেক কষ্টে মিঠুনের গ্রামের ঠিকানা সংগ্রহ করেছি। এখন বিয়ের দাবিতে অনশন করছি। দাবি পূরণ না হলে এখানেই আত্মাহুতি দেব।’এ ঘটনায় বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বেলাল হোসেন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে শনিবার সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তরুণীকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তরুণী বিয়ের দাবিতে অনড়। অবস্থা বিবেচনায় গ্রাম-পুলিশ পাহারায় প্রতিবেশী সুকেশ চন্দ্র মণ্ডলের বাড়িতে রাখা হয়েছে তাঁকে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মান্দা থানার ওসিকে অবহিত করা হয়েছে।’মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মেয়েটি মামলা করতে চাইলে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।’