মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সাজসজ্জায় বেলুনের পরিবর্তে সরকারি কনডম ব্যবহার করার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন করেছেন।
জড়িতদের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।এ ঘটনার দায়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিন কর্মদিবসের আজ শেষ দিন হলেও তদন্ত কমিটি এখনো তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেনি। অব্যাহতি পাওয়া মো. রেজাউল করিম হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও জরুরি বিভাগের ইনচার্জ।
অব্যাহতিপত্র ও শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে গত ১৬ ডিসেম্বর শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সাজসজ্জার অংশ হিসেবে বেলুনের সঙ্গে সরকারি কনডম ব্যবহার করেন রেজাউল করিমসহ কয়েকজন কর্মচারী। তার তত্ত্বাবধানে ছিলেন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস সোবহান।
বেলুনের পরিবর্তে সরকারি কনডম ব্যবহার করার ঘটনা রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে পুরো জেলায় তোলপাড় শুরু হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার রাতে হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো) ডা. মো. মফিজুল ইসলামকে সভাপতি, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন কুমার পোদ্দারকে সদস্য সচিব করে, জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. সৌমিত্র সরকার ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. কাজী শাহ মো. আব্দুল্লাকে সদস্য করে হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে দাখিলের শেষ দিন হলেও সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি তারা।
অপরদিকে এর প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ সিকদার, আবুল হোসেন খান, আমির হোসেন খান, শামসুল হক চৌকিদার, মো. আলাউদ্দিন সরদার, আনোয়ার হোসেন, মো. জানে আলম মুন্সি প্রমুখ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ সিকদার ও আব্দুর রহমান খান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চাকরি থেকে অব্যাহতিসহ মূল হোতাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এ ঘটনায় আমাদের পুরো জাতিকে অপমান করা হয়েছে। এর সঠিক বিচার না হলে সামনে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন মুক্তিযোদ্ধারা।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুস সোবাহান বলেন, সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সাজসজ্জায় বেলুনের বদলে সরকারি নিরাপদ কনডম ব্যবহার করার বিষয়টি প্রথমে আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি। পরে খবর পেয়ে আমি সেগুলোকে অপসারণ করিয়েছি। এ ঘটনায় জরুরি বিভাগের ইনচার্জকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো আমার হাতে পৌঁছেনি।
কিছু কনডম ভুয়া যোদ্ধাদের ডুকাইলে ভাল হত
ঠিকই আছে । কারন কনডম জন্মনিয়ন্ত্রন করে । তাই র্ধম মতে কনডম হারাম ।
কেন মুক্তিযোদ্ধারা কি কনডম ব্যবহার করেনা উনার ছেলেরাও উনার নাতিরা ব্যবহার করে না যারা যারা মানববন্ধন করছে এগুলা লিস্ট করে রাখা দরকার যদি ওদের ফ্যামিলির কেউ ফার্মেসিতে গিয়ে কনডম খুঁজে ওদেরকে বেঁধে রাখা হোক।
বাংলাদেশ কনডম সাধীন। কনডমের যে সাধীনতা আছে জনগণের নাই