বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করেছেন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দাবি করলেও তা মানতে নারাজ তার বাবা কাজী নূরউদ্দিন। তিনি ছেলেকে একজন ‘যোদ্ধা’ আখ্যায়িত করে বলেন, আমার ছেলে এই কাজ করতে পারে না।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন। এর আগে গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফারদিনকে কেউ হত্যা করেনি, তিনি ডেমরার সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফারদিন হতাশায় ভুগছিল বলেও জানানো হয় ডিবির পক্ষ থেকে।
ফারদিনের বাবা বলেন, ফারদিন পরিবারের অনেক উত্থান-পতন দেখেছে এবং সে প্রতিটি পরিস্থিতিকে সামলে নিয়েছে। সে একজন যোদ্ধা। তার মতো ছেলে কখনোই এমন কিছু করতে পারে না।
এ সময় তিনি ফারদিন রামপুরা থেকে যাত্রাবাড়ী গেল কী করে সেটাও প্রশ্ন তোলেন। বলেন, ‘ফারদিনকে হয়তো এক জায়গা থেকে তুলে নিয়ে বন্দুকের মুখে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়েছে। তাকে অপরাধীদের নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য করা হতে পারে। তদন্তকারীদের উচিত আমাদের সব জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো। যে ছেলে রাত ১১টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসতো, সে কেন এসব সন্দেহজনক স্থানে এভাবে ঘুরবে?
এর আগে সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তার (ফারদিন) স্পেন যাওয়ার কথা ছিল, টাকা ম্যানেজ হয়নি। তার পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হচ্ছিল। সবকিছু মিলেই মনে হয়েছে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। এছাড়া তার লাশের সুরতহাল রিপোর্টে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। যদি হত্যাকাণ্ড হতো আঘাতের চিহ্ন থাকত। মারধর করা হলেও চিহ্ন থাকত। কোনোটার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ডিবি কর্মকর্তা বলেন, ফারদিন সাঁতার জানতো না। সবকিছু মিলে আমরা মনে করছি এটি আত্মহত্যা।
ফারদিনের আত্মহত্যার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ফারদিন অন্তর্মুখী ছিল। সবার সাথে সব কিছু শেয়ার করতে পারত না। তার রেজাল্ট গ্রাজুয়ালি খারাপ হচ্ছিল। প্রথম সেমিস্টারে ৩.১৫ তারপর কমতে কমতে ২.৬৭, যেটা বাসার লোকজন বা আত্মীয়-স্বজন কেউ জানত না।
হারুন বলেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে স্পেন যাওয়ার জন্য ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন ছিল, যেটা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিল। বন্ধুরা তাকে ৪০ হাজার টাকা দেয়।
ডিবি কর্মকর্তা বলেন, ফারদিন টিউশন করত ৪টা। সব টাকা দিয়ে নিজের ও ছোট দুই ভাইয়ের পড়াশোনা করাতো। নিজের জন্য কিছু করত না। তারপরও বাড়িতে শাসন, তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে। হলে থাকা যাবে না। একধরনের চাপের মধ্যে ছিল, যেটা ভিকটিম মানতে পারে নাই।
এদিকে র্যাবের পক্ষ থেকে ডাকা সংবাদ সম্মেলনেও জানানো হয়, ফারদিন সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে স্বেচ্ছায় লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফারদিনের ওই দিনের কর্মকাণ্ড বিস্তারিত তুলে ধরে র্যাব।
গত ৫ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন। ওইদিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা নূর উদ্দিন। নিখোঁজের দুই দিন পর গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। পরে লাশের ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
৯ নভেম্বর মধ্যরাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একজনের নাম উল্লেখ করে বাকিদের অজ্ঞাত দেখিয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় ১০ নভেম্বর ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে জানানো হয়, তার হত্যার পেছনে কিশোর গ্যাংয়ের হাত আছে। মাদকের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথাও প্রচার হয়। যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফারদিন কোনো দিন সিগারেটও স্পর্শ করেননি। ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে এবং শিগগির রহস্য উন্মোচিত হবে- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন বক্তব্যের মধ্যেই বুধবার জানানো হলো, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
কি করবেন ডিজেল দেশ।
ক্ষমা করবেন বাবা 👏👏
আমাদের এদেশে সবই সম্ভব। 😥😥😥
এই অসহায় বাবার কথা কে শুনবে??
খেলায় রেফারির সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। রিভিউ নেয়ার সুযোগ নেই।
এটা ডিবির নাটক।
অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের কোনো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থার উপর সাধারণ জনগণে আস্থা নেই।
এরা শুধু একটি দলের সার্থ হাসিলের জন্যই কাজ করছে।
এটা নিশ্চিত যে প্রভাবশালী কেউ তাকে হত্যা করেছে।
ইনশাআল্লাহ সকল অত্যাচারের বিচার হবে সেই দিন আর বাকি নেই ইনশাআল্লাহ
ডিবি কে নিষিদ্ধ করা উচিত।।
হত্যা কান্ডটিতে সাগর-রুনির মতো মে কোন একটা রহস্য লুকিয়ে আছে।
চট্টগ্রামে জঙ্গি পাওয়ার নাটকের বলি ফারদিন হলো কিনা আল্লাহ ভাল জানেন।
ছেলেটা নিজকে নিজে খুন করলো। খুন কারার পর নিজে নিজে বস্তায় ঢুকলো, ভেতরে থেকে বাইরের দিকে বস্তার মুখ বন্ধ করলো। তারপর নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লো……!!!!
কিছু বলবো না……শুদু দুয়া করি আল্লাহর আদালতে যেন সঠিক বিচার পায়। একটা ছেলেকে একটু একটু করে বড় করে বুয়েটে চান্স পাওয়াতে বাবা মায়ের যে কত কষ্ট আর কত ত্যাগ স্বীকার করতে হয় তা কেবল বাবা মায়ই জানে। আল্লাহ তার বাবা মাকে ধৈর্য্য ধরার তৌফিক দান করুক।
বিচার আল্লাহর কাছে চান।এখানে পাবেননাতো!
আল্লাহ পাকের কাছে কান্নাকাটি করেন মানুষের কাছে কান্নাকাটি করে কোন লাভ নেই ধৈর্য্য ধারণ করুন। আল্লাহ পাক ছাড়দেন কিন্তু ছেড়েদেন না। শুধু অপেক্ষা।
পিনাকী ভট্টাচার্য আগেই বলেদিয়েছে এই খুনের সাথে কে বা কারা জড়িত
তাই বিচার চেয়ে লজ্জা দিবেন না
বলার কিছু নাই। জালিমের চাই
কাকু সোনার বাংলায় সুবিচার পাইবানা এরা অপরাধী কে হিরো বানায় ভুক্তভোগী কে বানায় ভিলেন। তদন্তের শুরুতে খুন হইছে কইছিল এখন মোটা টাকা বিদেশী মদ আর কচি…….. পাইয়া আগের কথা ভুলে গেছে। আল্লাহর কাছে বিচার দিন তিনি আপনাকে ন্যায় পাইয়ে দিবেন।
আল্লাহ যদি বিচার করেন 😪😪😪
এই ঘটনায় যারা প্রকৃত দোষী তাদের সন্তানদের সাথে এমনটা হোক। আল্লাহ তায়ালার কাছে এই প্রত্যাশা।
দুআ করি হারুনের পরিবারে সাথে যেন এমন হয়।
ফারদিন আত্ম/হত্যা করেছিলেন!! আত্ম/হত্যার আগে তিনি নিজেকে নিজে প্রচুর মেরেছিলেন যার দাগ তার পুরো মাথায় আর বুকের দু-পাশে পাওয়া গিয়েছিল। আর মৃত্যুর পর নিজের লা/শ নিজে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দিয়ে এসেছিলেন…..।
হ্যাপি এন্ডিং ❤️
ধন্যবাদ বাংলাদেশ ❤️
© outbox
আপনাকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা নেই । বিচারের ভার আল্লাহর উপর ছেড়ে দেন । আল্লাহ ন্যায় বিচারক ।
চাচা এই দেশে চোখের পানির কোন দাম নেই? আল্লাহ একমাত্র ভরসা?শুধু আল্লাহর কাছে ২হাত তুলে দোয়া করবেন,যারা আপনাদের বুক খালি করেছে আল্লার গজব যেন তাদের উপর নাযিল হয়।
Right. Police given false statement.
আল্লাহর কাছে বিচার চান আল্লাহ পাক ছাড় দেয় ছেড়ে দেন না মা বাবার এই আর্ত চিৎকার কবে শেষ হবে
আওয়মী পুলিশের বিচার হবেই হবে। সব হিসাব বুকে চাপা আছে।
সার তেল সুমন কোথায়
আপনী হয়তো সত্যি বলেছেন।কিন্তু প্রমাণ করবেন কিভাবে।হাজারো মিথ্যার মাঝে একটা সত্য হারিয়ে যায়।আপনী আল্লাহর আদালতে বিচার দেন।সেখানে আপনী ন্যায় বিচার পাবেন।
ডিবির হারুন; তোর সাজানো নাকট এদেশের জনগণ কখনো মেনে নিবে না!
যে গুলো ঘটনা পরিকল্পিত সেগুলোর কোনো বিচার হবেনা এটাই স্বাভাবিক।
আল্লাহর কাছে বিচার চান। তিনি দুনিয়াতে না হলে আখেরাতে এর বিচার করবেন।
Tears are prayer too. They travel to Almighty when we can’t speak.