Breaking News

আর্জেন্টিনার পতাকায় তৈরি বিয়ের গেট, ফেসবুকে ভাইরাল

কুমিল্লায় আর্জেন্টিনার পতাকা দিয়ে নিজের বিয়ের গেট তৈরি করে সুশান্ত কুমার দে নামক এক আর্জেন্টিনার সমর্থক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এই গেট দেখার জন্য উৎসুক লোকজন বাড়ির সামনে ভিড় করছেন। সুশান্ত বিয়ের তিনদিন আগেই এমন গেট নির্মাণ করেছেন। এরই মধ্যে ওই গেটের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিয়ের আয়োজন দেখার জন্য মিডিয়ার লোকজনও ওই বাড়িতে ছুটে যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সুশান্তের গায়ে হলুদ এবং শুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠান হবে। সুশান্ত কুমার দে জেলার বরুড়া উপজেলার কাসেড্ডা গ্রামের স্বপন কুমার দে এর ছেলে। কনে জেলার মুরাদনগর উপজেলার কেমতলী গ্রামের দীপক চন্দ্র নন্দীর মেয়ে শ্রীমতি রিম্পা রানী নন্দী।

ফুটবল বিশ্বকাপ জ্বরে গোটা বিশ্বের মতোই কাঁপছে বাংলাদেশও। ভক্তদের উত্তাপ আর উন্মাদনায় বাংলার বিভিন্ন এলাকার বাড়ি, গাড়ি, সড়ক ও সেতু সাজানো হয়েছে পছন্দের দলের পতাকার রঙে। এবার সেই উন্মাদনায় বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে সুশান্ত কুমার দে। লিওনেল মেসিদের দারুণ ভক্ত এই তরুণ উন্মাদনা ছড়াতে নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানের গেট সাজিয়েছেন আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে- আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে যেই ডেকোরেটর মালিক গেটটি সাজিয়েছেন, তিনি আবার ব্রাজিলের সমর্থক। এরই মধ্যে গেটটি দেখতে বিয়ে বাড়ির সামনে ভিড় করছেন আশপাশের বিভিন্ন এলাকার লোকজন। এতে নিজের বিয়ের আনন্দ আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সুশান্ত কুমার দে।

সুশান্ত জানান, তিনি ঢাকায় ব্যবসা করেন। ছোট বেলা থেকে মেসির ভক্ত। এলাকার বড় ভাইদের সঙ্গে বসে মেসির খেলা দেখেই তার কঠিন ভক্ত হয়ে যান তিনি। তাই নিজের বিয়ের গেট আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে রাঙানোর পরিকল্পনা করেন তিনি। তার হবু স্ত্রীও একই দলের সমর্থক বলেও জানান তিনি। আমি একা নই- আমার বড় ভাই প্রশান্ত কুমার দে’ও আর্জেন্টিনার একজন অন্যতম সাপোর্টার। তাই পরিবারের সবার সঙ্গে আলোচনা করেই এমন গেট নির্মাণ করেছি।

সুশান্তের বড় ভাই প্রশান্ত কুমার বলেন, আমাদের বাবা স্বপন কুমার দে আর্জেন্টিনার ভক্ত। বলা চলে পুরো পরিবারই আর্জেন্টিনার ভক্ত। তারা মজার ছলে বলেন, বিয়েতে এই গেট নির্মাণ করেছেন যেই ডেকোরেটর প্রতিষ্ঠান সেটির মালিক হলেন জুবায়ের আহমেদ। তিনি আমাদের পার্শ্ববর্তী কাশেমী গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি ব্রাজিলের অন্ধ সমর্থক। প্রথমে তিনি আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে গেট নির্মাণ করতে সম্মত ছিলেন না। পরে অবশ্য ব্যাবসায়িক সুনামের কথা ভেবে তিনি সুন্দরভাবেই গেটটি তৈরি করেছেন। এতে আমারও খুশি তার প্রতি। তিনিও গেট নির্মাণ করে এখন আনন্দিত।

Check Also

কন্যার ছিন্নভিন্ন দেহ কুড়াচ্ছিলেন মা

অনেক সাধনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সংসার পাতার আট বছর পর গিয়াস-রাবেয়া দম্পতির ঘরে জ্যোতি ছড়ায় রায়সা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *