দেখতে দেখতে কেটে গেছে তার জীবনের ৩৫টি বছর। ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কখন যে মরণ অসুখ বাসা বেঁধেছে তার কিডনিতে। যখন টের পেলেন তখন তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।
ঢাকার নবাবগঞ্জের বারুয়াখালী ইউনিয়নের আলালপুর গ্রামের গৃহবধূ হেলেনা আক্তার আজ জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে। তার দুচোখে মুঠো মুঠো স্বপ্নের বদলে শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা। চোখ বুঝে অবসন্ন শরীর নিয়ে জীবনকে মহাকালের কাছে সোপর্দ করার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন হেলেনা।
তার মধ্যে এখন বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি। নিজের জন্য নয়, ৬ ও ৯ বছরের দুটি সন্তানের জন্য হলেও বাঁচতে চান হেলেনা। স্বামী কিংবা স্বজনদের সামর্থ্য নেই এত অর্থ ব্যয় করে তাকে বাঁচিয়ে রাখার। তারপরও তার পরিবারের চেষ্টার কমতি নেই।
নিরূপায় হয়ে হেলেনাকে বাঁচাতে সমাজের সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তার স্বামী মিজানুর রহমান জুয়েল। তিনি ঢাকায় একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন।তাদের গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জের বারুয়াখালী ইউনিয়নের আলালপুর গ্রামে।
হেলেনা আক্তার বলেন, চলতি বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক এ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার উত্তরার একটি হাসপাতালে দেখালে সেখানে কিডনি বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন আমার দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।
টাকার অভাবে চিকিৎসা না করাতে পেরে দিন দিন আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। আমি মারা গেলে আমার ছোট ছোট দুটি সন্তান এতিম হয়ে যাবে। ওরা কি খাবে কি করবে? সমাজের ধনী ব্যক্তিদের কাছে আমার আকুল আবেদন আমার ছোট ছোট সন্তান দুটির কথা চিন্তার করে হলেও আমাকে একটু সাহায্য করুন।
হেলেনার স্বামী মিজানুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘আমার সহায় সম্বল বলে তেমন কিছু নেই। এই মুহূর্তে আমার পক্ষে স্ত্রীর চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়।’
স্ত্রীকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তি ও প্রবাসীদের সাহায্য কামনা করেছেন মিজানুর রহমান জুয়েল। হেলেনাকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: মিজানুর রহমান (হেলেনার স্বামী), সিটি ব্যাংক, গুলশান শাখা, ঢাকা। হিসাব নম্বর- ২৪০৩১৬৫৫৩৮০০১। বিকাশ নম্বর ০১৭৬৫-৮৯৬৮২৭।