Breaking News

‘বড় ভাই না বলায়’ শিক্ষার্থীদের মারামারি, জড়ালেন অভিভাবকরাও

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ‘বড় ভাই না বলাকে’ কেন্দ্র করে প্রথমে শিক্ষার্থী ও পরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) উপজেলার পরমেশ্বদী ইউনিয়নের জয়পাশা সৈয়দ ফজলুল হক একাডেমির শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে এক জায়গায় বসে আড্ডা দিচ্ছিল জয়পাশা সৈয়দ ফজলুল হক একাডেমির অষ্টম ও নবম শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থী। আড্ডার একপর্যায়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আবুল হাসানের নবম শ্রেণির একজনকে ‘বড় ভাই না বলে’ নাম ধরে ডাকে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নবম শ্রেণির ছাত্ররা তাকে মারধর করে।

আবুল হাসানের বাড়ি মালিখালী। শিক্ষকরা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মালিখালী ও জয়পাশা গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্কুলমাঠে উপস্থিত হয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এ সময় মালিখালী গ্রামের ইকবালকে (১৫) মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিবেশ শান্ত করেন।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মালিখালী গ্রামের সোলায়মান মোল্যা জাগো নিউজকে বলেন, যেসব শিক্ষার্থীরা মারামারিতে লিপ্ত হয় তাদের বাড়ি মালিখালী ও জয়পাশা গ্রামে। পরে এই দুই গ্রামের লোকজনও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। মালিখালীর দুই ছেলেকে বেধম মারপিট করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জয়পাশা সৈয়দ ফজলুল হক একাডেমির প্রধান শিক্ষক বিভাষ চন্দ্র অধিকারী জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের মারামারির ঘটনা শিক্ষকরা মীমাংসা করে দেন। পরে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা খবর পেয়ে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্কুলমাঠে জড়ো হন। এ সময় দুই গ্রামের লোকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

তিনি আরও বলেন, লোক আসা দেখে স্কুলের গেটে তালা দিয়ে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে বহিরাগতরা স্কুলের ভেতরে ঢুকতে না পেরে বাইরে থেকে ইটপাটকেল মেরে জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আসে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় সালিশ বৈঠক ডাকা হয়েছে।

ডহরনগর পুলিশ ফাঁড়ির (তদন্ত কেন্দ্র) ইনচার্জ মো. আজাদ হোসেন বলেন, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ে মারামারির খবর আমার জানা নেই। প্রধান শিক্ষক বা কোনো শিক্ষক আমাকে কিছুই জানাননি।

Check Also

কন্যার ছিন্নভিন্ন দেহ কুড়াচ্ছিলেন মা

অনেক সাধনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সংসার পাতার আট বছর পর গিয়াস-রাবেয়া দম্পতির ঘরে জ্যোতি ছড়ায় রায়সা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *