স্বামী ও ননদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মাহমুদা আক্তার মিতু (২৪) নামের এক পুলিশ কনস্টেবল আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।রোববার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল হামিদের বড় ভাই গাজিন্দা গ্রামের আবু হানিফের বাড়ি থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
নিহত মাহমুদা আক্তার মিতু ঢাকা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটে নারী পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার বালিয়াচর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে।
তার পরিবারের দাবি, মিতু প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে ৪ বছর আগে তার মামাতো ভাই আশুলিয়া থানার বেপারী পাড়া গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে অপুকে (৩০) বিয়ে করেন। বিয়ের পর মিতু স্বামীর সাথেই থাকতেন। সেখানে স্বামীর পরিবারের সাথে তার অশান্তি হয়। গত ৩ মাস আগে সিংগাইর উপজেলার গাজিন্দা গ্রামে বাসা নিয়ে সেখান থেকে অফিস করতেন তিনি। গত শুক্রবার দুপুরে স্বামী অপুর সাথে তার ঝগড়া হয়। এতে অপু তাকে মারধর করে। এ ঘটনার জের ধরে মিতু কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বাড়ির মালিক আবু হানিফ বলেন, শনিবার রাতের খাবার খেয়ে মিতু ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।নিহত পুলিশ কনস্টেবল মিতুর বাবা আব্দুল মালেক জানান, স্বামী অপু ও তার ছোট বোন সেলিনার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
লাশের সুরতহালকারী কর্মকর্তা ধল্লা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, লাশের পাশ থেকে ফুরাডান উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিংগাইর সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল-ইমরান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।