Breaking News

রহিমা ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার দাবি

দেশজুড়ে আলোচিত রহিমা বেগমের নিখোঁজের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের স্বজনরা দাবি করেছেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে রহিমা বেগম আত্মগোপনে ছিলেন। মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতেন।

তাই, অবিলম্বে মরিয়ম ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আসল ঘটনা উদঘাটন ও নির্দোষ ব্যক্তিদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন রহিমা বেগমের অপহরণ মামলার আসামি মহিউদ্দীনের নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মালিহা মহিউদ্দিন। এ সময় অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার কুয়েট কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া, মহিউদ্দিন, রফিকুল ইসলাম পলাশ, নুরুল আলম জুয়েল এবং হেলাল শরীফের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মালিহা জানান, মরিয়ম মান্নান প্রশাসন এবং গণমাধ্যমে অনবরত মিথ্যা তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাই তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন একই মামলায় কারাগারে থাকা পাঁচ পরিবারের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, রহিমা বেগম ও তার সন্তানেরা এলাকায় ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেছেন। ওই পরিবার ‘মামলাবাজ পরিবার’ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। প্রতিবেশীদের ঘায়েল করার জন্য অপহরণের মামলা করা হয়েছিল।

একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা প্রতিবেশীদের শায়েস্তা করছেন। কয়েক বছর আগে ৮ থেকে ৯ বছরের এক শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ-চেষ্টার মামলা করেছিলেন রহিমা বেগম। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় তারা প্রতিবেশীদের মামলার ভয় দেখান।

আরও বলা হয়, মরিয়মের বাবা মান্নান তিন বিয়ে করেন। এর মধ্যে মান্নানের প্রথম পক্ষের ছেলে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ভুক্তভোগী হেলাল শরীফ ও গোলাম কিবরিয়া জমি কিনেছিলেন। কিন্তু রহিমা বেগম ও তার পরিবারের লোকজন সেই জমির দখল নিতে দেননি।

উল্টো এ ঘটনায় মানহানির মামলা করেছিলেন রহিমা বেগম। সেই মামলায় হেলাল শরীফসহ পাঁচজন আসামি ছিলেন। ওই মামলায় আসামিরা সবাই আগাম জামিন নেন। পরে সেই পাঁচ জনের নামেই অপহরণ মামলা করা হয়। নতুন করে ফাঁসানোর জন্য আবারও মামলা দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে মালিহা মহিউদ্দিন আরো জানান, রহিমা বেগমের নিখোঁজ হওয়া থেকে শুরু উদ্ধার পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনায় প্রমাণ হয়েছে, পুরোটা একটা নাটক। আর, এই নাটক সাজানোর মূল কারণ হচ্ছে তাদেরকে বিপাকে ফেলা।

আরও পড়ুন: চেয়ারম্যান সেলিমের জামিন শুনানি ১২ অক্টোবর

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের স্বজনেরা বলেন, এই ঘটনার কারণে তাঁদের স্বজনদের অন্যায়ভাবে জেল খাটতে হচ্ছে। তারা মানুষগুলোর দ্রুত মুক্তি চান। আর্থসামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানির কারণে রহিমা বেগম ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তারা।

Check Also

কন্যার ছিন্নভিন্ন দেহ কুড়াচ্ছিলেন মা

অনেক সাধনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সংসার পাতার আট বছর পর গিয়াস-রাবেয়া দম্পতির ঘরে জ্যোতি ছড়ায় রায়সা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *