Breaking News

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে শীর্ষ নেতারা প্রতারণা করেছে: ববি হাজ্জাজ

এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজাজ্জ বলেছেন, “বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন এবং দলটির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি আমাদের পূর্ণ সহানুভূতি আছে। আমরা তাঁর মুক্তি দাবি করছি। তবে আমরা মনে করি, বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ প্রতারণা করেছে। কারণ তাঁদের একাংশ কর্মী-সমর্থকদের রক্তের উপর দিয়ে সমাবেশের আগের রাতে অনুমতির নাটক সাজাতে ডিএমপির প্রধান কার্যালয়ে গিয়েছিলো।”

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ উদ্দেশ্যহীন এবং মুক্তিকামী জনতার প্রত্যাশা পূরণে অসফল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম কর্তৃক আয়োজিত এক গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে ববি হাজ্জাজ এসব মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের মহান বিজয় অর্জনের আগমুহূর্তে আজকের এই দিনে পাকহানাদার বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। বর্তমান নিশিরাতের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের সরকার ঠিক একইভাবে বিরোধী মত এবং পথের মানুষদের গুম-খুন এবং নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। সংবিধান লঙ্ঘন করে মানুষের মোবাইল ফোনের গোপন বার্তা-ছবি পরীক্ষা করে দেখছে তাঁরা সরকারবিরোধী কি না। এই দানব শক্তিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হলে জনগণের ঐক্য লাগবে।

ববি হাজ্জাজ প্রশ্ন তুলে বলেম, “১০ তারিখের গণসমাবেশ কি সরকার পতনের জন্য ছিলো নাকি শুধুই একটা গতানুগতিক রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিলো?” তিনি বলেন, “আমরা উত্তর জানার এবং রাজপথে একসাথে নামার অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু আমরা হতাশ হয়েছি। জনগণের মধ্যে আবেদন সৃষ্টি করতে হলে এই সরকারের পতনের পর কোন ঘোষণাপত্রের আলোকে এবং কোন নেতৃত্বের অধীনে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে সেটার সুষ্পষ্ট উত্তর পেতে হবে। এটা ছাড়া যুগপৎ আন্দোলন কখনোই আলোর মুখ দেখবে না।“

ববি হাজ্জাজ বলেন, “পল্টনে নেতা-কর্মীদের অবস্থানের নির্দেশনা দিয়ে এবং কর্মী-সমর্থকদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করে বিএনপির নেতৃত্ব যখন ডিএমপির কাছে ১০ ডিসেম্বরের আগের রাতে অনুমতি চাইতে গেলো তখনই তাঁদের আন্দোলন উদ্দেশ্যহীন হয়ে পড়েছিলো। তাঁরা যুগপৎ আন্দোলনের আহ্বান জানালেও জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট রুপরেখা উপস্থাপন করতে পারে নাই। মনে রাখতে হবে, গন্তব্যহীন আন্দোলনে সরকার পড়ে না। গণবিপ্লব ঘটিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে সরকারকে বাধ্য করেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।”

গণঅবস্থান কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এনডিএম এর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হুমায়ুন পারভেজ খান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, এনডিএম এর যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা প্রমুখ।

Check Also

ক্ষমা চাইলেন ডা. মুরাদ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেছেন সাবেক তথ্য ও …

8 comments

  1. মার থেকে মাসির দরদ বেশি

  2. Buwa khtar Dam niy

  3. একটু চেষ্টা করছে
    যদি একটু ভুল বুজানো যায়
    সবই তো আওয়ামী কেরামতি।
    কিন্ত ববি তো চেংরা পোলা
    এরচেয়ে কতো উন্নতরা চেষ্টা করে ও ফেল মারছে।

  4. আমারোতো মনেহচ্ছে মহাসচিব ১৪বছর ধরে চেয়ারপার্সন ও দেশবাসীর সাথে হেঁয়ালি(ঈদেরপরে আন্দোলন) করে যাচ্ছেন !

  5. ভুয়া

  6. Jahangir Hussain Ali

    ধুরো মূর্খ বেআক্কেল ।

  7. তুমি কেমতে জানো

  8. হাঁ …হাঁ …হাঁ … উনি অনেক দরদি ! গরু কোথাকার just like আবাল ! Just shut up!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *