Breaking News

দেশ চালাতে না পারলে খালেদা জিয়ার কাছে গিয়ে ক্ষমা চান: আলাল

দেশ চালাতে না পারলে আওয়ামী লীগ সরকার ও তাদের নেতাকর্মীদের বিএনপি চেয়ারপরসন খালেদা জিয়ার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেছেন, ‘দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় উর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য কমানোর দাবিতে আমাদের এই কর্মসূচি চলছে। আমরা তো বলিনি বিএনপি এই মুহূর্তে ক্ষমতায় যাবে। আমরা তো বলিনি খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে, কিংবা তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। আমরাতো মানুষের কষ্টের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছি। সেই কষ্ট মানুষ অনুভব করতে পেরেছে বলেই বিএনপির সমাবেশগুলোতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।’

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ সব কথা বলেন।

আলাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আতঙ্ক এমনভাবে পেয়ে বসেছে, কোথায় বসে তারেক রহমান একটি শব্দ করল বা হাঁচি দিল, সঙ্গে সঙ্গে এখানে কাপাকাপি শুরু হয়ে যায়। গণভবনের ফ্লোর কাঁপে, বঙ্গভবনের চেয়ার কাঁপে। এত কেন ভয়? চালাতেই যদি না পারেন তাহলে রাতের অন্ধকারে খালেদা জিয়ার কাছে গিয়ে ক্ষমা চান। তাকে বলুন, অনেক অন্যায় করেছি, মাফ করে দেন এবং দেশের সমস্যা সমাধানের জন্য আসুন একসঙ্গে কাজ করি।’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘লক্ষ্য করছেন না, বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি দৃশ্যমান পরিবর্তনে এসেছে। আপনাদের তিন দফার ক্ষমতার দুঃশাসনের হাত থেকে মানুষ মুক্তি চায়। আর প্রকৃত প্রমাণ হচ্ছে সমাবেশগুলো। মানুষের বেঁচে থাকার যে আকুতি সেই জায়গায় কোনো বিভেদ নেই সমাবেশগুলোতে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গার্মেন্টসের যারা মালিক তারা আবার একই সঙ্গে ব্যাংকের মালিক, ইন্ডাস্ট্রিজের যারা মালিক তারাও আবার একই সঙ্গে ব্যাংকের মালিক। তারাই আবার আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় নেতা, আওয়ামী লীগের তহবিলে তারাই সবচেয়ে বেশি টাকা দেয়। তারপরেও এই অর্থবছরে ৩৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপি কেন? তারা ব্যাংকের টাকা মেরে খেয়েছে, মানুষের গচ্ছিত সঞ্চয়ের টাকা মেরে খেয়েছে; সাধারণ মানুষের রক্ত শোষণ করেছে। এ সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদী কন্ঠস্বর বেগম খালেদা জিয়ার। খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্নিত হয়ে মিথ্যে মামলা তাকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। ৮ হাজার মাইল দূরে রয়েছেন তারেক রহমান, তাকে নিয়েও এত ভয়। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতারা তারেক তারেক বলতে বেহুঁশ হয়ে যায়।’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘ভালো হয়ে যান সময় আছে। ভালো না হলে ভালো কীভাবে করতে হয় বাংলাদেশের মানুষ তা জানে।’

মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আনিস আহমেদ, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাওলাদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Check Also

ক্ষমা চাইলেন ডা. মুরাদ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেছেন সাবেক তথ্য ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *