রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতার সঙ্গে জামায়াতের একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি।
সম্প্রতি নগরের সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে জেলা ও মহানগর ছাত্রমৈত্রীর ২৭তম সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। এসময় তার করা এমন মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সেদিনের বক্তব্যে সরাসরি ওই নেতার নাম উল্লেখ না করলেও তিনি বলেন, এই ব্যবসায়িক সম্পর্কের মাধ্যমে অবৈধ অর্থের পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে।
ওই বক্তব্যে তিনি এও মন্তব্য করেন, আওয়ামী লীগে জামায়াতের অনুপ্রবেশ ব্যাঙের ছাতার মতো বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে জামায়াতের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। তাদের দল থেকে বের করতে হবে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিজয় লাভ করবে না।
১৪ দলের অন্যতম শরিক দলের এ নেতা তার ওই মন্তব্য নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এতে তিনি জানান, তিনি আওয়ামী লীগের ওই নেতার নাম প্রকাশ্যে বলতে চান না। তবে ১৪ দলের বৈঠকে তিনি নাম বলবেন।
ওই সাক্ষাৎকারে রাজশাহী-২ আসনের এ সংসদ আগের অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ‘জেলার শীর্ষ আওয়ামী লীগের ওই নেতা বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক করে অবৈধ অর্থের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। আমি পঞ্চাশ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতি করছি। মুক্তিযোদ্ধা হয়ে আমি বেইমানি করতে পারবো না।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মনে করছেন, একসঙ্গে বসলে সব ভুল বোঝাবুঝি নিরসন হয়ে যাবে। টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘১৪ দলের মধ্যে কোনো দূরত্ব তৈরি হয়েছে, ঘটনা মূলত এমন নয়। একসঙ্গে বসলে ভুল বোঝাবুঝি থাকবে না।’