রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক সংগঠনের মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। তবে মিছিল ও সমাবেশের নামে কোনো রাজনৈতিক দল দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, নাশকতা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করলে আওয়ামী লীগ প্রতিহত করার জন্য অতীতেও মাঠে ছিল, আজও আছে, ভবিষ্যতেও মাঠে থাকবে।
নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন স্থানে গুলিতে দলের নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রংপুরে তাদের চতুর্থ বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দুপুর ২টায় বিভাগীয় এই গণসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের সোয়া দুই ঘণ্টা আগে দুপুর পৌনে ১২টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত শেষে দোয়া মোনাজাতের মধ্য দিয়ে গণসমাবেশ শুরু হয়। এখন দলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভাগীয় এ গণসমাবেশে যোগ দিতে বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে লক্ষাধিক নেতা-কর্মী রংপুরে এসেছেন। অনেকেই সমাবেশস্থল ছাড়া রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা, স্কুলমাঠ, ক্লাব মাঠে অবস্থান নিয়েছেন। সমাবেশকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে সমাবেশকে ঘিরে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় এজন্য পুলিশের সবাই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নগরজুড়ে প্রায় দেড় সহস্রাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া রয়েছে সাদা পোশাকধারী পুলিশ, র্যাবের সদস্য ও বাড়তি গোয়েন্দা নজরদারি। সমাবেশস্থলের পাশেই মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলা চলছে। সমাবেশের কারণে আজ বাণিজ্য মেলা বন্ধ রাখা হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নুরেআলম মিনা জানান, বিএনপি গণসমাবেশ ঘিরে যাতে কোনো ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করতে না পারে, সেজন্য বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সমাবেশ মাঠের চারপাশে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সমাবেশকে ঘিরে মেট্রোপলিটন পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।