মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দি ইউপির চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুল হক মিঠু বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন।
মিঠুর পক্ষে নৌকার প্রচারে নেমেছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক বজলুর রহমান ফরাজী এবং হেফাজতের মামলার অন্যতম আসামি মমিন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে হোসেন্দি ইউপি নির্বাচন হয়। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মনিরুল হক মিঠু স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেন আক্তার হোসেন। কয়েক মাস আগে দুর্ঘটনায় মারা যান চেয়ারম্যান আক্তার। নিয়ম অনুযায়ী তিন মাস পর আগামী ২ নভেম্বর উপ-নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এতে পুনরায় নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মনিরুল হক মিঠু। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে রয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান আক্তারের ছোট ভাই মাহবুব হোসেন।
অভিযোগ রয়েছে, নৌকার প্রার্থী মিঠু বিএনপির অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের নিয়ে ইউনিয়নজুড়ে মহড়া দিচ্ছেন। তাঁর এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। গত ১৩ অক্টোবর আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাঁকে কারণ দর্শনোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতাদেব দাবি, আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী এমন কাজ করতে পারেন না। যদি করেন তাহলে দল থেকে বহিস্কার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় নৌকার প্রার্থী মনিরুল হক মিঠুর সঙ্গে। তবে তিনি নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকার কথা জানিয়ে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বজলুর রহমান ফরাজী বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মিঠুর সঙ্গে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে ভোট চাইতে বের হচ্ছি। যে কোনো মূল্যে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।’
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিবুর রহমান রিফাত জানান, নৌকার পক্ষে বিএনপির ভোট চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সত্যতা পেলে দল থেকে বহিস্কার করা হবে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন বলেন, ‘এই সরকারের কোনো কাজকে আমরা সমর্থন করি না। অভিযোগটি শুনেছি, বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’