Breaking News

বিএনপি নেতার রগ কেটে পুলিশে দিল চেয়ারম্যান

ঢাকার কেরানীগঞ্জে মো. জাকির হোসেন নামে এক বিএনপি নেতাকে মেরে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আয়নাল ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে একই বংশের দুই ভাই মো. সেলিম ও রিয়াজুলের মধ্যে কথা-কাটাকাটির জেরে জকির এগিয়ে এলে ইউপি চেয়ারম্যান আয়নাল, তার ২ ভাই, ২ ছেলে, ভাতিজা, ভাগিনাসহ প্রায় ১৫/২০ জন মিলে মো. জাকির হোসেনকে বেধড়ক মারধর করে তার হাতের রগ কেটে দেয় বলে অভিযোগ করেন জাকিরের স্ত্রী শিউলী হোসেন। মারধরের ফলে জাকিরের কপালে ৪/৫টি সেলাই এবং হাতে ২৭টি সেলাই হয়েছে বলে জানিয়েছে তার ছেলে শাফিন আহমেদ।এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, রামদা নিয়ে তাকে মারতে আসলে এলাকাবাসী তাকে পিটুনি দেয়।

সে নিজেই তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে তার হাত কেটেছে বলেও জানান তিনি। তবে নাসিম নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছে টিনে লেগে তার হাত কেটে গেছে।
জাকির হোসেনের মেয়ে জুবাইদা জানান, তার বাবা ওষুধ আনতে গিয়ে দেখে সেলিম ও রিয়াজুলের মাঝে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। এসময় সেলিম তার বাবার কাছে বিচার দিলে সে বলে পরে দেখা যাবে। এই কথা শুনে রিয়াজুল ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানকে বললে চেয়ারম্যান, তার ২ ছেলে, ২ ভাই, ভাতিজাসহ প্রায় ২০/৩০ জন মিলে আমার বাবাকে মারধর করে। মারধরে আমার বাবার কপাল কেটে যায়, চোখ দিয়ে রক্ত বের হয় এবং হাতের রগ কেটে যায়। মার খেয়ে আমার বাবা দৌড়ে বাড়ি চলে আসলে আমরা যখন আমার বাবাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে ব্যস্ত ঠিক সে সময় চেয়ারম্যান পুলিশ নিয়ে এসে বাবার কালারে ধরে মারতে মারতে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। আমার বাবার কোনো দোষ ছিল না, আমার বাবা বিএনপি করে বলেই এই হামলা। আমরা হয়তো দুনিয়ায় বিচার পাব না। আল্লাহর কাছে বিচার দিচ্ছি। মানুষ কি করে একজন রক্তাক্ত মানুষ কালারে ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে পুলিশে দেয়?

জাকিরের ছেলে শাফিন জানান, তার বাবাকে মেরে কোনো মামলা ছাড়াই পুলিশে দিয়েছে। তারা আমার বাবাকে একা পেয়ে বেধড়ক মারধর করেছে। বাবার চোখের কাছে ৪/৫টি এবং হাতে ২৭টি সেলাই পড়েছে। এখন সে পুলিশ পাহারায় সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মামুনুর রশীদ জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আয়নালকে দা নিয়ে মারতে আসলে তার সঙ্গে থাকা দা দিয়েই তার হাত কেটে গেছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জাকির হোসেনকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। সে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

Check Also

ক্ষমা চাইলেন ডা. মুরাদ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেছেন সাবেক তথ্য ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *