আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে মুছে ফেলতেই শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি বেঁচে থাকলে আজ হয়তো বঙ্গবন্ধুর মতই বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতেন, বিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা হতেন। তাকে নিয়ে দেশ ও জাতি গর্ববোধ করতো।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসার কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের স্মৃতির স্মরণে মঙ্গলবার লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ওয়েব সাইটে শেখ রাসেল শিশু কর্নারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শেখ রাসেল শিশু কর্নারে শেখ রাসেল দিবস উদ্যাপন সংক্রান্ত, শেখ রাসেল পদক- ২০২২, শেখ রাসেল দিবস উদযাপন নীতিমালা-২০২২, শেখ রাসেল পদক নীতিমালা- ২০২২ এবং শেখ রাসেল ফটো গ্যালারিসহ অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে।
সেখানে প্রদান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক বলেন, ‘শেখ রাসেল এক সাহসী, প্রাণবন্ত সত্ত্বার নাম। মানবতার এক ব্যতিক্রমধর্মী প্রতীক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশু রাসেলকে তার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘাতকরা। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বরোচিত ঘটনা এই হত্যাকাণ্ড।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শেখ রাসেল আজ আমাদের মাঝে নেই, আছে তার স্মৃতি। এই স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গত বছর ১৮ অক্টোবরকে শেখ রাসেল দিবস ঘোষণা করেছে। এই দিবস বাংলাদেশের জনগণকে আদর্শ মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম সচিব মো. মুনিরুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।