Breaking News

এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য: বিএনপি

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছে বিএনপি।

সরকারের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এ দলটি বলছে, এই সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অযৌক্তিক। এর ফলে জনগণকে রাজনৈতিক হয়রানি এবং নির্বাচনের প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে।

দলের স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব কথা বলা হয় বলে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিএনপি। সোমবার দিবাগত রাতে দলের স্থায়ী কমিটির এ বৈঠক হয়।

‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০২২’ মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তরে সিদ্ধান্তে তীব্র সমালোচনা করে বৈঠকে বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক এবং জনগণকে রাজনৈতিক কারণে হয়রানি এবং নির্বাচনের প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে আপত্তিকর। অযৌক্তিক, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য মূলক, বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী এই সকল সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানানো হয়।

বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি, অন্তবর্তীকালীন সময়ে দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পার্লামেন্ট গঠন ও আন্দোলনকারী সব দলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্যবৃদ্ধি এবং আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলি বর্ষণে আব্দুর রহিম, নূরে আলম, শাওন, শহিদুল ইসলাম শাওন, আব্দুল আলিমকে হত্যা, মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ও পুলিশের হামলা এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

বর্তমানে অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় অনৈতিকভাবে টিকে থাকার জন্য পুনরায় দমননীতি গ্রহণ করেছে বলেও বৈঠকে নেতারা বলেন।

বৈঠকে জনগণের যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে সরকারের সব নির্যাতনকে পরাজিত করে জনগণের বিজয় অর্জিত হবে বলে উল্লেখ করে বৈঠকে নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, পুলিশের হামলা, গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এবং গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবিতে আগামী ২০ অক্টোবর খুলনা বিভাগ ছাড়া সব মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।

গাজীপুর মহানগরের আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনসহ কয়েকজন নেতাকর্মীর জামিন বাতিল করায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বৈঠকে আরো বলা হয়, বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করে অনির্বাচিত সরকারের নির্দেশে আদালতের এই সব নির্দেশ গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পরিপন্থী। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয় বৈঠকে।

আগামী ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালনের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বৈঠকে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্ববর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

Check Also

এবার বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল বিমান ও নৌ বাহিনী

এবার বিমান ও নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিল সরকার। সোমবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *