Breaking News

এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্রে নেওয়ার প্রস্তাব, ইসি কর্মকর্তাদের আপত্তি

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এ সংক্রান্ত চিঠি মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এরপর বুধবারই ‘বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।

বুধবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভায় বসলেও এনিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানিয়েছেন।

তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেছেন, এ বিষয়ে পরবর্তীতে ‘গভীরভাবে পর্যালোচনা করে’ ইসির অবস্থান জানানো হবে।

“কমিশনের বুধবারের সভায় এ সংক্রান্ত এজেন্ডা ছিল না। গতকালকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠিটি আমরা পেয়েছি। এ বিষয় নিয়ে এখনও বিস্তারিত পর্যালোচনা করিনি আমরা। পর্যালোচনা করার পরে যদি কিছু বলার থাকে জানাব।”

নির্বাচন কমিশন ২০০৭-০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকার কাজ শুরু করে। বর্তমানে দেশের ১১ কোটি ১৭ লাখের বেশি নাগরিক ভোটার তালিকাভুক্ত রয়েছে।

২০১০ সালে ইসির অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ একটি আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায়।

নতুন প্রস্তাব

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাহী বিভাগের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন দেশের উদাহরণের আলোকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সুরক্ষা সেবা বিভাগ ওই দায়িত্ব পালনে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বিবেচিত বিধায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংক্রান্ত দায়িত্ব সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্ত করার লক্ষ্যে ‘অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামং ডিফারেন্ট মিনস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশন্স’-এ সুরক্ষা সেবা বিভাগের দায়িত্বসমূহের মধ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

>> জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০১০ এ ‘নির্বাচন কমিশন’ এর পরিবর্তে সরকার শব্দ অন্তর্ভুক্তকরণসহ প্রয়োজনীয় সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

>> সুরক্ষা সেবা বিভাগ কর্তৃক জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিদ্যমান অবকাঠামো ও জনবল নির্বাচন কমিশন থেকে সুরক্ষা বিভাগে হস্তান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকারের এরকম একটি প্রস্তাবনা আছে সুরক্ষা সেবা বিভাগকে এ দায়িত্ব দেওয়া। তবে তার আগে আইন-কানুন বিধি-বিধান ও বিজনেস অব এলোকেশনসহ অনেক কিছু ঠিক করতে হবে।”

এ কার্যক্রম পরিচালনা করতে সমস্যা হবে কি না- জানতে চাইলে সচিব বলেন, “না, তা হবে না। লোকবল যারা আছেন, তারাই থাকবে।”

এদিকে ‘বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, “দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ইসির অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রম যেভাবে চলমান রয়েছে, তা অব্যাহত রেখে দ্রুত কিভাবে সেবা নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।”

Check Also

এবার বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল বিমান ও নৌ বাহিনী

এবার বিমান ও নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিল সরকার। সোমবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *