প্রকাশ:২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:১৬
৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ মা মায়া রাণী কুন্ডুর আশ্রয় এখন চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান কমপ্লেক্স সংলগ্ন সুলতান ঘাটের ওপর রাখা শিল্পী সুলতানের নৌকার নিচে। গত ১২ দিন ধরে এখানেই দিন-রাত রোদ, বৃষ্টি, ঝড় মোকাবেলা করে মানবেতন জীবন-যাপন করছেন। দুটি সন্তান থাকলেও গত দেড় বছর আগে এই বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।
জানা গেছে, নড়াইল শহরের কুড়িগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মৃত কালিপদ কুন্ডুর স্ত্রী মায়া রাণী কুন্ডু (৮৫)। তার দুই ছেলে হলেন, দেব কুন্ডু (৫০) এবং উত্তম কুন্ডু (৪০)। কয়েক বছর আগে উত্তম বিয়ে করে অন্য জায়গায় বসবাস করায় আরেক ভাই ব্যবসায়ী মাকে দেখভাল করছিলেন।
তিনি শহরের রূপগঞ্জ বাজারের বাঁধাঘাট এলাকার বাসিন্দা। এর মধ্যে গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে দেব তার মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে। পাশাপাশি তার খেতে-পরতে এবং থাকতে দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ সময় স্থানীয় অমিত সাহা নামে এক ব্যক্তি মায়া রাণী কুন্ডু নামের ওই বৃদ্ধা মাকে কয়েক মাস তার নিজ বাড়িতে রাখেন।
বৃদ্ধা মায়া রাণী কুন্ডু কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় বছরের বেশী আমার ছেলে ও বৌমা আমাকে খেতে, পরতে ও থাকতে দেয় না। আমার ৫শতকের একটি জায়গা ছিল। সে জায়গা কয়েক লাখ টাকা বিক্রি করেছে আমার ছেলে দেব কুমার। এখন তারা আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমি কিছু দিন এখানে ওখানে ছিলাম। এখন আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। এ বাড়ি ও বাড়ি গেলে যা খেতে দেয় তাই খাই। আমি শারীরিকভাবেও অসুস্থ। এই বয়সে আমি কি করবো?’
এ ব্যাপারে মায়া রাণীর ছেলে দেব কুন্ডু বলেন, ‘বৌ-এর সাথে বনিবনা হয় না। এখন আমি কি করবো বুঝতে পারছি না।
এ ব্যাপারে নড়াইল জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ‘এ ধরনের খবর আমাদের জানা নেই। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। আমরা খুব দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।