বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামে নিজ ঘর থেকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নুশরাত জাহান নোহার (৯) ম’রদেহ উ’দ্ধারের ঘটনায় আদালতে হ;ত্যা মামলার এজাহার জমা দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে নি’হতের মা তানিয়া বেগম
৩ জনকে আ’সামি করে এজাহার জমা দেন। সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বি’চারক শাম্মি আক্তার ম’য়না ত’দন্ত রি’পোর্ট পাওয়ার পর মা’মলাটি ন’থিভুক্ত করা এবং ওই পর্যন্ত নথির কার্যক্রম স্থগিত রাখারও নির্দেশ দেন। এজাহারে উল্লেখিত আ’সামিরা হচ্ছেন, নি’হতের বাবা ও বাদীর
সাবেক স্বামী সুমন মিয়া, সুমনের চতুর্থ স্ত্রী ঝুমুর জামান ও সুমনের বোন লিপি বেগম। বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট সুমন মিয়া তাকে তা’লাক দেন। এরপর থেকে সে ঢাকায় বসবাস করে আসছেন। তার সন্তান নি’হত নোহাকে সুমনের বাবা আব্দুর রহিম মিয়া খুব আদর করতেন। কিন্তু তা সহ্য করতে পারতেন না
সুমন ও তার স্ত্রী ঝুমুর। ঘটনার দিন গত ৯ সেপ্টেম্বর নোহা উপজেলার দারুল ফালাহ প্রি ক্যাডেট একাডেমিতে সাপ্তাহিক পরীক্ষা দিতে যায়। সেখানে কম নম্বর পাওয়া শিক্ষক তাকে ব’কাঝকা ও লা’ঠি দিয়ে পি’টায় বলে ওই পরিবারের সকলকে জানায়। এ জন্য ঘরে বসে সে কিছুক্ষণ কান্নাকাটিও করে। বাদীর দাবি, এ ঘটনাকে পুঁজি করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার মেয়ে নোহাকে বা’লিশচাপায় হ’ত্যা করে আ’সামিরা।
এরপর গামছা ও ওড়নায় যুক্ত করে নোহাকে আড়ার সাথে ঝু’লিয়ে দিয়ে আ’ত্মহত্যার প্র’চার চালানো হয়। এমনকি বিষয়টিকে গ্রহণযোগ্য করতে সুমন মিয়া বাদী হয়ে শিক্ষক সুমন পাইককে আ’সামি করে মা’মলা দায়ের করেন, যা ছিল সম্পূর্ণ সা’জানো নাটক। শিশুর মা তানিয়া বেগম আরও বলেন, ৯ বছরের শিশু আ’ত্মহত্যা চিন্তাও করতে পারে না। সেখানে গামছা ও ওড়না যুক্ত করে আড়ার সাথে ফাঁ’স দেয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণে তিনি
আদালতে ওই তিনজনকে আ’সামি করে হ’ত্যা মা’মলার এজাহার জমা দিয়েছেন বলে জানান। প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমির তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নোহার ঝু’লন্ত ম’রদেহ উ’দ্ধার করে পুলিশ। অ’ভিযোগ ওঠে, মা’দ্রাসায় অকৃতকার্য হওয়ায় শিক্ষক মা’রধর ও গা’লমন্দ করায় নোহা অ’ভিমান করে আ’ত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর নি’হত নোহার বাবা সুমন মিয়া বাদী হয়ে আ’ত্মহত্যার প্র’রোচণা চালিয়ে শিক্ষক সুমন পাইককে আ’সামি করে মা’মলা দায়ের করেন। এরপর থেকে প’লাতক রয়েছে আ’সামি সুমন পাইক।