আক্রান্ত সবাই আল্লাহর রহমতে এখনও পর্যন্ত সুস্থ আছে। তবে আমি নারায়ণগঞ্জবাসীসহ পুরো দেশের মানুষের কাছে আমার পরিবারের সুস্থতায় ‘দোয়া ভিক্ষা’ চাচ্ছি। কারও না কারও দোয়ায় আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন দোয়া কবুল করবেন, ইনশাআল্লাহ।
জানা গেছে, করোনার হটস্পটখ্যাত নারায়ণগঞ্জে লকডাউনের শুরু থেকেই অসহায়, কর্মহীন ও হতদরিদ্র মানুষের পাশে যে কয়েকজন ব্যক্তিগতভাবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, তাদের মধ্যে সালমা ওসমান লিপি অন্যতম। যখনই খবর পেয়েছেন কিংবা গণমাধ্যমে কোনো অসহায় মানুষের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, লিপি ওসমান নিজেই ছুটে গেছেন। আবার কখনও প্রতিনিধির মাধ্যমে সহযোগিতার হাত বাড়িেেছন।
গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩ হাজার দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি। এছাড়াও প্রায় এক হাজার মধ্যবিত্ত পরিবারকে গোপনে অর্থ ও উপহারসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন এ নারী। করোনায় আক্রান্ত বহু পরিবার ও তাদের সন্তানদের দায়িত্ব নিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষের কাছে মমতাময়ী ‘মা’।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আবেদনে সাড়া দিয়ে তিনি শত শত পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। একটি বেসরকারি চ্যানেলের লাইভ টকশোতে গিয়েও তিনি এক দরিদ্র পরিবারকে ৫ লাখ টাকা অনুদান দেন। ফুটবলার আরিফ হাওলাদার, নিপুর মতো অসহায় ক্রীড়াবিদের পাশেও যেমন দাঁড়িয়েছেন, তেমনি সরকারি হাসপাতালে বেড, অক্সিজেন প্রদান করেছেন। সালমা ওসমান লিপির অসুস্থতার খবরে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে তার ও তার পরিবারের সুস্থতার জন্য দোয়া করা হচ্ছে।