দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পর বিয়ে করতে অস্বীকার করে ভারতের পশ্চিমবাংলার মালদহ জেলার এক তরুণ। আর এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন একই এলাকার এক তরুণী। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মালদহের কালিয়াচক থানার মানিকটোলার দুইশতবিঘি গ্রামে।
ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে স্থানীয় চন্দন মণ্ডলের সঙ্গে তরুণীর পরিচয় হয়। এর পর থেকে তার বাড়িতে অবাধ যাতায়াত শুরু হয় চন্দন মণ্ডলের। তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যান ও সহবাস করেন চন্দন। অভিযোগ, এরপর কয়েক দিন আগে হঠাৎ চন্দন মণ্ডল মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের অবর্তমানে জোর করে মুখে কাপড় গুঁজে তুলে নিয়ে যান। তারপর ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন।
ঘটনা কাউকে না বলার জন্য প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন চন্দন। এ ঘটনা স্থানীয় প্রশাসনকে জানালেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে আতঙ্কে লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে নির্যাতিতার পরিবারকে। ঘটনার পর থেকে পলাতক চন্দন। বাধ্য হয়ে আজ মালদহের পুলিশ সুপারের কাছে যায় ওই তরুণীর পরিবার। অভিযুক্তকে কঠোর শাস্তির দাবি করেছে তারা।