বারবার ভারত জুড়ে এমন সব ঘ’টনা উঠে আসছে সংবাদ মাধ্যমের পাতায় যা দেখে ক্র’মশই গ্রা’স করছে হ’তা’শা। কখনও পরিযায়ী শ্রমিকদের হাজার হাজার মাইল হেঁটে চলা, কখনও গর্ভবতী মায়ের হাঁটতে হাঁটতকে মৃ’ত সন্তানের জন্ম দেওযা, কখনও গর্ভিনী হস্তিনী, কখনও বা গর্ভবতী গরুকে বাজি ভর্তি ফল খাইয়ে মৃ’ত্যুয’ন্ত্রণা দেওয়া, কখনও আবার সন্তানকে জন্ম দেওয়ার আকুল প্রার্থনায় চিকিত্সকদের দরজায় দরজায় ঘুরে শেষ পর্যন্ত হার মেনে নেওয়া।
এমনই ঘ’টনা ঘ’টল এবার রাজধানী দিল্লীর পাশেই নয়ডায়। আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা বছর ত্রিশের নীলম যখন প্রসব য’ন্ত্রণায় কা’তরাচ্ছেন, তখন স্বামী বিজেন্দ্র সিং তাকে নিয়ে শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেরাচ্ছেন একটা বেড পাওয়ার আশায়। আট আটটি হাসপাতালের দরজায় কাতরভাবে কাড়া নাড়লেন তিনি। কিন্তু সব হাসপাতালই শুনিয়ে দিল বেড খালি নেই। শেষ পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা ধরে অসহ্য য’ন্ত্রণা সহ্য করতে করতে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হল নীলমের। গত শুক্রবার এই ঘ’টনার ঘটে
ঘ’টনাটি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। গৌতম বুদ্ধ নগর জেলা প্রশাসন ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। নীলমের পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, নীলমের কিছু প্রেগন্যান্সি সং’ক্রা’ন্ত সম’স্যা ছিল। তিনি শিবালিক হাসপাতালে নিয়মিত চেকআপ করাতেন। কিন্তু সেদিন ওই হাসপাতালও তাকে ভর্তি করতে অস্বী’কার করে।
এলাকার সমস্ত বেসরকারি, সরকারি হাসপাতালে ঘোরেন তারা। কিন্তু সকলেই ফিরিয়ে দেয় নীলমকে। শেষ পর্যন্ত গভর্মেন্ট ইন্সস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স নীলমকে ভর্তি করে ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। এই টা’নাপো’ড়েনের জীবন ছেড়ে অনেক দূরে চলে গিয়েছেন নীলম।