করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লায় একদিনে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে জেলাজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সর্বোচ্চ ১০৫ জন। গেলো ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের বাড়ি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় এবং একজনের বাড়ি জেলার মুরাদনগর উপজেলায়।
এ নিয়ে জেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন ৪১ জন। আর এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৭১ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে জেলায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১৮৪ জন।কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কুমিল্লায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছেই। সতর্ক না হলে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই থাকবে।’কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৫।
শনাক্তের দিক থেকে যা একদিনে জেলায় সর্বোচ্চ। এর আগে ৩১ মে কুমিল্লায় সর্বোচ্চ ১০৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।আক্রান্তদের মধ্যে আছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৭ জন, জেলার চৌদ্দগ্রামে ১১ জন, মুরাদনগরে ১৩ জন, চান্দিনায় ১৩ জন, লাকসামে ৭ জন, তিতাসে ৬ জন, হোমনায় ৫ জন, দাউদকান্দিতে ৪ জন, আদর্শ সদর উপজেলায় ৭ জন, বুড়িচংয়ে ১৩ জন, বরুড়ায় ৩ জন, নাঙ্গলকোটে ২ জন, মেঘনায় ২ জন, দেবিদ্বারে ১ জন ও মনোহরঞ্জে ১ জন।জেলায় এ পর্যন্ত উপজেলাওয়ারী আক্রান্তের সংখ্যা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২১ জন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় ২০৭ জন, জেলার আদর্শ সদরে ৭০ জন, সদর দক্ষিণে ২৬ জন, লালমাইয়ে ১০ জন, দেবিদ্বারে ১৭৩ জন, মুরাদনগরে ১৫৯ জন,
লাকসামে ৮৮ জন, মনোহরগঞ্জে ২২ জন, চান্দিনায় ১১৫ জন, বরুড়ায় ২৫ জন, বুড়িচংয়ে ৮৬ জন, ব্রাহ্মণপাড়ায় ২৭ জন, নাঙ্গলকোটে ৬৭ জন, চৌদ্দগ্রামে ৭৫ জন, তিতাসে ৩০ জন, দাউদকান্দিতে ২৯ জন, হোমনায় ২০ জন, মেঘনায় ১৮ জন।সিভিল সার্জন জানান, কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৩৪ জনের নমুনা পাঠানোর পর রিপোর্ট এসেছে ৯ হাজার ৫৫৬ জনের। এর মধ্যে জেলায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে মোট ১২৬৮ জনের এবং মারা গেছেন মোট ৩৮ জন। এছাড়াও জেলার বাইরে আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লায় মৃত্যুবরণ করেছেন আরো তিনজন।