ফেনীর দাগনভূঞায় করোনার মধ্যে বাড়ি নিয়ে যেতে না চাওয়ায় বাবার ওপর অভিমান করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মেয়ে কাকলী রানী দাস (২০)। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার রামনগর গ্রামে দনেশ সদ্দার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও বাড়ির লোকেরা জানান, বুধবার কাকলীর শ্বশুরবাড়িতে তাকে দেখতে আসেন তার বাবা লাল চন্দ্র দাস। এ সময় মেয়ে বাবার সঙ্গে যাওয়ার বায়না ধরে। বাবা করোনার কারণে এই পরিস্থিতিতে নিতে অস্বীকৃতি জানান।এতে কাকলী ক্ষুব্ধ হয়ে বাবাকে বলে আর আমাকে দেখবেনও না। বিষয়টি বাবা লাল চন্দ্র স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিলেন।
পারিবারিক দেখাশুনার মাধ্যমে নোয়াখালী পেয়ারপুর গ্রামের হিরো লাল চন্দ্র দাসের কন্যা কাকলীর বিয়ে হয় রানগর বিকাশ চন্দ্র দাসের ছেলে মিঠুন চন্দ্র দাসের সঙ্গে। বিয়ের তিন বছরে দুই বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে কাকলীর।
দাগনভূঞা থানার ওসি আসলাম শিকদার জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কাকলীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।