করোনাভাইরাস নিয়ে ফেসবুকে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে লালমনিরহাটে শরিফুল ইসলাম নামে এক কলেজ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় তাকে পাটগ্রাম পৌর শহরের মির্জারকোর্ট এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শরিফুল ইসলাম লালমনিরহাটের পাটগ্রাম আদর্শ ডিগ্রি কলেজের রসায়ন বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক। তিনি রংপুরের পীরগঞ্জের ভেন্ডাবাড়ী পলাশী এলাকার খায়রুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণে ও পুলিশ সূত্রে গেছে, গত ১১ মে সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে মো. শফিকুল ইসলাম তার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে করোনাভাইরাস নিয়ে একটি বিভ্রান্তিমূলক স্ট্যাটাস দেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘কোলাকুলি ও মোসাফা করা থেকে বিরত থাকা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা-এসব কথা কোরআন, ইসলাম ও ঈমান আমলের ওপর বড় আঘাত হেনেছে। ঘন ঘন স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, মাস্ক ব্যবহার, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসায় থাকুন, নিরাপদ থাকুন, সুস্থ থাকুন-ভাইরাস প্রতিরোধে এই সমস্ত কথা ৯৯.৫০% ভুয়া। কেউ এসব কথা সত্য প্রমাণিত করতে পারলে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেব, ব্যর্থ হলে সে দুই লাখ ক্ষতি পূরণ দেবে এবং সরকার পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করতে হবে।’
এ ছাড়াও তিনি ফেসবুকে আরও অনেক অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিমূলক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মোহন্ত বলেন, ‘শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও তিনি সরকারের নানা বিষয় নিয়ে গুজব ছড়িয়েছেন।’
ওসি আরও বলেন, ‘শরিফুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।’