স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ বিভিন্ন পর্যায়ে হানা দিয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকায় আপনারা দেখেছেন কী অবস্থা। সেই তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে। বুধবার (১৩ মে) মহাখালীর বিসিপিএস মিলনায়তনে চিকিৎসক ও নার্সদের যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবেই ডাক্তার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন রোগে অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু কোভিড-১৯ ভাইরাস তেমন কোনো ভয়ানক রোগ বলে আমি মনে করি না, অন্তত বাংলাদেশে এই ভাইরাস তেমনভাবে মৃত্যু ঘটাচ্ছে না। আড়াইশ ব্যক্তি এই ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। কিন্তু এটা আমরা বলতে পারি, অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে। যেখানে এই একই সময় ইউরোপে ২০/৩০ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করেছেন। বাংলাদেশে সেখানে মৃত্যু ও আক্রান্ত অনেক কম।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কম হওয়ার কারণ হচ্ছে এই ভাইরাস প্রতিরোধে অনেকে কাজ করছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়সহ অনান্য সহযোগী মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি জেলা, উপজেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে আমরা আলাদা হাসপাতাল তৈরি করেছি যেখানে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা হয়। আপনারা জানেন, ঢাকায় বেশ কয়েকটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। প্রতিটি জেলায়, ইউনিয়নে করোনা প্রতিরোধে কমিটি করা হয়েছে। যার ফলে দেশের অনান্য স্থানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম। আমরা চাই এই ভাইরাস যেন আর বিস্তার লাভ না করে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা বিভাগের বাইরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ২৫০০ জন। আর বাকি সব আক্রান্ত ঢাকা বিভাগে। এখানেই বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে লোকও বেশি, কর্মকাণ্ড বেশি যার ফলে এখানে আক্রান্ত বেশি হয়েছে।’
সব রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরত যাওয়া মানে একটি অপরাধ। কোভিড-১৯ এবং অন্য সব রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে সদ্য নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগ মোকাবিলায় সরকার ৩৯তম বিএসএস (বিশেষ) থেকে দুই হাজার চিকিৎসককে নিয়োগ দিয়ে ৪ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর গতকাল মঙ্গলবার তাঁরা নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। এর আগে এই দুই হাজার চিকিৎসক নন–ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হলেও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দ্রুততার সঙ্গে তাঁদের ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া একই উদ্দেশ্যে ৫ হাজার ৫৪ জন জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স নিয়োগ করা হয়েছে।