করোনায় মারা যাওয়া সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্যের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী।সোমবার (১১ মে) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একরাম চৌধুরী ফাউন্ডেশন থেকে করোনায় মৃত্যুবরণকারী ভোরের কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার আসলাম রহমান, সময়ের আলো পত্রিকার সাব-এডিটর মাহমুদুল হাকিম অপু এবং ছয় পুলিশ সদস্যের প্রত্যেক পরিবারের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে মোট চার লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়।
পাশাপাশি নোয়াখালীর অসুস্থ প্রবীণ সাংবাদিক ভোরের ডাকের জেলা প্রতিনিধি আহসান উল্যাহ মাস্টারের জন্য তার স্ত্রীর হাতে তুলে দেন ৫০ হাজার টাকার চেক। সুবর্ণচরের কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ১৪ লাখ টাকা, জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য দুই লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়। জেলা শহর মাইজদীর মধ্যবিত্তদের খোঁজখবর নিয়ে ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন এমপি একরামুল করিম।
এর আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।এমপি একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ব্যক্তি সচেতনতা নয়, সমষ্টিগতভাবে সচেতন হতে হবে। না হয় করোনাভাইরাস আমাদের শেষ করে দেবে। তাই সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানাই। যারা দোকানপাট খুলেছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস, সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নব জ্যোতি খীষা, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. ফজলে এলাহী খান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান।
এর আগে ৩০ এপ্রিল একরাম চৌধুরী ফাউন্ডেশন থেকে করোনায় মৃত্যুবরণকারী ডা. মঈন উদ্দিনের পরিবারকে দুই লাখ, সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকনের পরিবারকে ৫০ হাজার, পুলিশ কনস্টেবল জসিম উদ্দিনের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা এবং করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের জন্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঁচ লাখ টাকাসহ মোট আট লাখ টাকার অনুদান দেন একরামুল করিম চৌধুরী।