Breaking News

বিরিয়ানি শেষ বলায় ওয়েটারকে পেটালেন তিন যুবক

রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে ওয়েটারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা কিংবা মারধর করার খবর হরহামেশাই শোনা যায়। অনেকে খাবারের বিল দেওয়ার সময় দাপট দেখাতে কিংবা খাবার সার্ভ করতে দেরি হওয়ায় ওয়েটারের কলার ধরে দু-চারটা থাপ্পড় বসিয়ে দেন।

বুধবার (৯ নভেম্বর) এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধনগর জেলার বৃহত্তর নয়ডা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে। তবে বিষয়টি মীমাংসা পর্যন্ত না গিয়ে থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে।

জানা যায়, মনোজ, প্রবেশ ও কৃষ নামের তিন যুবক স্থানীয় সময় বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নয়ডার আনসল প্লাজার জাজুক রেস্টুরেন্টে খেতে যান। সেখানে গিয়ে চিকেন বিরিয়ানি অর্ডার দেন তারা। কিছুক্ষণ পর আলতাফ নামের এক ওয়েটার এসে জানান, বিরিয়ানি শেষ হয়ে গেছে।

বিরিয়ানি ফুরিয়ে যাওয়ার কথা শুনেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন ওই তিন যুবক। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে একজন গিয়ে আলতাফকে মারধর শুরু করেন। পরে বাকি দুজনও যোগ দেন।

একপর্যায়ে তারা ওয়েটারকে টানতে টানতে রেস্টুরেন্টের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আশেপাশে থাকা লোকজন এগিয়ে গেলে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান হামলাকারীরা।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নয়ডা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন হামলার শিকার ওয়েটার। পরে ওই অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে পুলিশ।

বৃহত্তর নয়ডার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসিপি)-১ মাহেন্দ্র দেব জানান, অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়ার পরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। প্রথমে সিসি ক্যমেরা ফুটেজ দেখে আমরা তিন আসামিকে শনাক্ত করি। এরই মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা তিনজনই একই জেলার দাদ্রি শহরের বাসিন্দা।

এসিপি আরও বলেন, আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে পুরো ঘটনা পর্যালোচনা করে দণ্ডবিধির ৩২৩ ও ১৪৭ ধারায় হামলাকারীদের গ্রেফতার করি। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, অনেকক্ষণ ধরে খাবারের অপেক্ষায় ছিলেন তারা। শেষমেশ ওয়েটার এসে যখন বলেন- বিরিয়ানি শেষ হয়ে গেছে, তখন আর মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি।’

Check Also

‘তালেবানের’ দখলে পাকিস্তানের সিটিডি কম্পাউন্ড

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বানু এলাকার জঙ্গিরা দেশটির কাউন্টার টেরোরিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) কম্পাউন্ডের দখল নিয়েছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *