ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের রিজার্ভ সেনাদের ডেকে পাঠানোর ঘোষণার পর থেকে দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন রাশিয়ানরা। বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, রাশিয়া-জর্জিয়া সীমান্তে সড়কে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির লাইন পড়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সীমান্তে গাড়ির যে লাইন তা প্রায় ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। জর্জিয়া সীমান্ত পাড়ি দিতে তাঁদের প্রায় সাত ঘণ্টা সময় লেগেছে। এ ছাড়া পুতিনের ঘোষণার পরপরই রাশিয়া থেকে বাইরের দেশে যাওয়ার ফ্লাইটগুলোর টিকিট দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) পুতিনের ওই ঘোষণার খবর প্রকাশের পরপরই রাশিয়ার নাগরিকেরা দেশ ছাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে যুদ্ধে যাওয়ার বয়সী তরুণদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার খবর বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া চিত্রে দেখা যায়, জর্জিয়া-রাশিয়া সীমান্তে আপার লারস চেকপয়েন্টে রুশ নম্বরপ্লেট লাগানো অনেক গাড়ি লাইন ধরে সীমান্ত পার হচ্ছে।
সীমান্তে জড়ো হওয়াদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ। পুতিনের ঘোষণার পরপরই বাড়ি ছাড়েন বলে জানান তাঁরা। কোনোমতে পাসপোর্ট হাতে দ্রুত বাড়ি ছেড়েছেন লোকজন।
রাশিয়ার নাগরিকেরা ভিসা ছাড়া যে অল্প কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করতে পারে জর্জিয়া তার মধ্যে একটি। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রায় দেড় লাখ রুশ নাগরিক জর্জিয়া প্রবেশ করেছেন। এ ছাড়া রাশিয়া থেকে নাগরিকেরা ফিনল্যান্ডেও প্রবেশ করছেন।এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে আরও সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেওয়ার পর রাশিয়ায় যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ পর্যবেক্ষণকারী স্থানীয় গ্রুপ ওভিডি-ইনফো জানিয়েছে, রাশিয়াজুড়ে ৩৮টি শহরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করার পর বুধবারই ছিল রাশিয়ায় প্রথম দেশব্যাপী যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ। স্থানীয় সময় বুধবার বিক্ষোভ থেকে অন্তত ১ হাজার ৩০০ ব্যক্তিকে আটক করে রুশ নিরাপত্তা বাহিনী। সূত্র : বিবিসি