Breaking News

সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা, হাত বিচ্ছিন্ন মেয়ের

পারিবারিক কলহের জেরে মেয়েকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এক গৃহবধূ। ভাগ্যক্রমে দুজন বেঁচে গেলেও ট্রেনে কাটা পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে মেয়ের বাম হাত। তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার হরিশংকরপুর ধোপাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকার সাপ্পীরুল ইসলামের (সাপ্পী) স্ত্রী।
নারীর স্বজনরা জানান, প্রায় এক যুগ আগে সাপ্পীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। চার বছরের মেয়ে আট বছর বয়সী ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামীর সঙ্গে মাঝে মধ্যেই পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া হতো গৃহবধূর। শনিবার সকালে পারিবারিক কলহের জেরে তিনি মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হরিশংকরপুর ধোপাপাড়া এলাকায় একটি মালবাহী ট্রেন ফরিদপুর থেকে দর্শনার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ একটি শিশুকে কোলে নিয়ে এক নারী ওই ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। তবে ওই নারী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একপাশে পড়ে যান। এতে শিশুটির এক হাত ট্রেনের চাকার নিচে পড়ে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া মা ও মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশুটির বিচ্ছিন্ন হওয়া বাম হাতের ক্ষত স্থানে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। শিশুটি ও তার মায়ের হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। তারা যন্ত্রণায় চিৎকার করছেন।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশরাফুল আলম জাগো নিউজকে বলেন আশঙ্কাজনক অবস্থায় শনিবার সকাল ৯টার দিকে মা-মেয়েকে এখানে আনা হয়। আহত শিশুর বাম হাতের কনুইয়ের নিচের অংশ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মা-মেয়ে দুজনকেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজের আলী জাগো নিউজকে বলেন, সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকায় ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা দর্শনাগামী মালবাহী ট্রেনে এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Check Also

পরকীয়ার জেরে স্বামীকে ২২ টুকরো করে শহরে ‘ছেটালেন’ স্ত্রী

ফের লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে ভারতের দিল্লিতে। দেশটিতে স্বামীকে হত্যার দায়ে এক নারীও ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *