শাকিব খানের সঙ্গে চিত্রনায়িকাদের প্রেম-বিয়ে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন অভিনেত্রী ফাল্গুনী হামিদ, যার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শবনম ইয়াসমিন বুবলী।
একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বুবলীসহ চিত্রনায়িকাদের বিয়ের সমালোচনা করেন ফাল্গুনী, যা বুধবার প্রচারিত হয়।
ফাল্গুনী হামিদ বলেন, “আমার যেটা মনে হয়, দোষটা শুধু শাকিব খানকে দিলে আমি বুঝতে পারব না। দোষটা আসলে মেয়েদেরও হওয়া উচিৎ। যেমন অপু যখন ওর সাথে প্রেম করেছে বা বিয়ে করেছে, ছেলে হয়েছে, ওটার যুক্তি ছিল। কারণ, তারা এক সঙ্গে অভিনয় করেছে, জুটি ছিল। তাদের প্রেম-ভালোবাসা হতেই পারে। বুবলী কেন? হোয়াই বুবলী?”
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে বিয়ে করেছিলেন শাকিব খান। তবে তা রেখেছিলেন গোপন। পরে অপু সন্তানকে প্রকাশ্যে আনার পর সে বিয়ের কথা স্বীকার করেন।
এরপর চিত্রনায়িকা বুবলীর ক্ষেত্রেও ঘটেছে একই রকম ঘটনা। সম্প্রতি তারা বিয়ের খবর প্রকাশের সঙ্গে জানান, তাদের সন্তানও হয়েছে।
বুবলীকে উদ্দেশ করে ফাল্গুনী বলেন, “তুমি মাত্র এসেছ। তুমি এসেই শাকিবের প্রেমে পড়লে! শাকিব তোমার থেকে কত বড় বয়সে। নাম-যশের কারণে তার প্রেমে পড়ে তার সন্তান গর্ভে ধারণ করতে হবে। ইট’স টু মাচ।”
শাকিব খানকে উদ্দেশ করে মঞ্চ ও টেলিভিশনে দীর্ঘদিন নাকটে অভিনয় করে আসা ফাল্গুনী বলেন, “একজন সুপারস্টারের গায়ে এসে মেয়েরা পড়তেই পারে। কিন্তু, আমি গ্রহণ করব কেন? আমরা যখন টেলিভিশনে অভিনয় করতাম, টেলিভিশনের নায়িকা ছিলাম, কোনোদিক থেকে তো খারাপ ছিলাম না। আমাদেরও গায়ে এসে পড়েনি কেউ? কিন্তু আমরা কি গ্রহণ করেছি? কীভাবে ত্যাগ করতে হয় আমরা জানতাম।
“শাকিবেরও এদের ত্যাগ করা উচিত। কারণ, এরা যদি গায়ে এসে পড়ে, তুমি সবাইকে গ্রহণ করছ কেন আর পাত্তা দিচ্ছ কেন? তাহলে তো তুমি সুপারস্টারই থাকতে পার না। সুপারস্টারের একটা জায়গা থাকে, লেভেল থাকে। সেখান থেকে তো নেমে গেলে।”
এমন সব বিষয় চলচ্চিত্র শিল্পেও প্রভাব ফেলছে বলে মন্তব্য করেন ফাল্গুনী।
সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর বুবলী ফেইসবুকে তার প্রতিক্রিয়া জানান। ফাল্গুনী হামিদের নাম উল্লেখ না করে তিনি লেখেন, “আপা, আপনি একাধারে লেখিকা, পরিচালক, নাট্যকার, অভিনেত্রী এবং সাংবাদিকসহ নানান গুনে গুণান্বিত। আপনি অনেক সিনিয়র একজন ব্যক্তিত্ব, আপনার দায়বদ্ধতা অনেক। আপনাকে আমি সম্মান করি।
“কিন্তু যখন কোনো পার্টিকুলার বিষয়ে যেটা একান্তই কারও ব্যক্তিগত, সে বিষয়ে পুরোটা না জেনে কোথাও বিচারকের মতো কোনো বিচারমূলক কমেন্ট করেন, তখন আপনার কথার ভঙ্গীমা, শব্দের প্রয়োগ এবং একদিকে পক্ষপাতিত্বমূলক কমেন্টটা শুনলে বুঝতে আর বাকি থাকে না আপনি সেই বিষয়ে বা যাকে নিয়ে বলছেন সে ব্যক্তিকে প্রপারলি না জেনেই কমেন্ট করছেন। আপনার এরকম আক্রমণাত্মক মনোভাব পোষণ করা কমেন্টটা দেখে অবাক হয়েছি যে আমরা যাদের অভিভাবক ভাবছি, তারা তাদের সকল সন্তানদের এক চোখে দেখেন না। দুঃখজনক!”
শেষে বুবলি প্রশ্ন রেখেছেন, “তাহলে আমরা সিনিয়রদের থেকে এই শিখব?”