Breaking News

মেয়েকে ধর্ষণের পর মেয়ের মাকেও ধ’র্ষণের হুমকি দিলেন ধ’র্ষক

তালা থানায় ধর্ষ’ণের মামলা করে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ধর্ষিতার পরিবার। মামলা তুলে না নিলে আরও বড় ধরনের ক্ষতি করার হুঙ্কার দিচ্ছে তারা। বাড়ি থেকে বের হলেই নানা ভাবে হেনস্তা করছে তারা, দিচ্ছে অশ্রাব্য ভাষায় গালি-গালাজ।

মান সম্মানের ভয়ে তারা বাড়ি হতে বের হতে পারছে না ধর্ষিতার পরিবার। তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য ও তালা রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মীর জাকির হোসেন এলাকা পরিদর্শন ও এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ইউপি সদস্য’সহ সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছেন।

সরজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, তালা উপজেলার জেয়ালা নলতা গ্রামের দিনমজুর আব্দুল আজিজের কন্যাকে ২৯মে’ ২০২০ ইং তারিখে সকাল ১১ টার সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অসুস্থ মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে লম্পট সোহাগ।

সে একই গ্রামের লম্পট হায়দার আলী সরদারের পুত্র। এলাকার মানুষের অভিযোগ হায়দার আলীও ঐ এলাকার চিহ্নিত লম্পট। তার অত্যাচারে রাতের বেলায় মহিলারা সম্ভ্রম হানির ভয়ে ঘর হতে বের হতে পারে না। তার লম্পটের সালিশ মীমাংসা অনেকবার করেছে এলাকার মানুষ। গত ৩০ মে ২০২০ ইং ধর্ষিতার পিতা আজিজ সরদার বাদী হয়ে তালা থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং -৮।

তালা থানা পুলিশ ভিকটিমকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করিয়েছেন। ধর্ষক পলাতোক থাকলেও থানায় মামলা করার কারণে বাড়িতে থাকা অন্যান্য আসামীরা নির্যাতিত পরিবারকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছে। লম্পট হায়দার আলী প্রকাশ্যে ধর্ষিতার মা আনজুয়ারাকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পরিবার। এলাকাবাসী বলেন, ধর্ষণের কথা জানাজানির পরে ধর্ষিতাকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগত ধর্ষকের বাড়িতে নিয়ে গেলে ধর্ষকের পিতা হায়দার আলী, মাতা আছমা বেগম, ভাই আফজাল সরদার, ফুপু ফরিদা বেগম ধর্ষিতাকে বেদম মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারা আরও বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই জাতপুর ক্যাম্পের এস আই সাইদুর রহমানের ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীর জাকির হোসেন বলেন, অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের প্রতি যে নিষ্ঠুরতা হয়েছে তা খুবই দুঃখ জনক। যে কোন বিবেকবান মানুষের উচিত হবে এই নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদ করা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন ও তালা থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেলের সাথে আমার কথা হয়েছে। আমাকে আশ্বস্ত করা ‘১হয়েছে অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না। এই মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি আমরা।

তালা থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল বলেন, ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি যতদ্রুত সম্ভব প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করার। চৌকস পুলিশ অফিসার কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, আশাকরি অতিশীঘ্রই আসামী গ্রেফতার হবে। জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই প্রীতিষ বলেন, মামলাটি তদন্ত পর্যায়ে আছে। সঠিক তদন্তের স্বার্থে আমরা মূল আসামীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করছি। মূল আসামী গ্রেফতার হলে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।

Check Also

জুলুম থেকে বাঁচতে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন

মহানবী (সা.) যেকোনো ধরনের জুলুম থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে একটি দোয়া পড়তে বলেছেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *