কৃত্তণ, পালা গান থেকে শুরু চল্লিশ বছর আগে শুরুভি সাহার যাত্রা জগতে আগমন। যাত্রার শিল্প ও যাত্রাপালায় পুরো দমে কাজ করেছেন যাত্রায়। স্বামী চন্দন সাহা দুই যুগ আগে এক কন্যা সন্তান রেখে চলে যান ভারতে। গত মার্চ মাসে শুরুভি সাহা স্টোক করে বাম হাত পা প্যারালাইজড হয়ে গেছে। এখন তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। এ পর্যন্ত তিন যুগে প্রায় হাজার খানেক যাত্রা শিল্পি হিসেবে অভিনয় করেছেন তিনি অভিনয়ে নাম যস অর্জন করেছেন তিনি।
কভিড-১৯ করোনা মহামারিতে এই গুণি শিল্পি চিকিৎসার অভাবে বিছানায় পড়ে আছে। শুরুভি ভাড়া বাড়ি থেকে তার একমাত্র কন্যা নুপুর সরকার তার বাড়িতে নিয়ে যায়। একদিকে করোনার মহামারি এই দূর্যোগ মূহুর্তে না নিতে পারছে চিকিৎসা সেবা না পারছে সংসার চালাতে। ঠিক যখন সাধারণ মানুষ পড়েছে খাদ্য সংকট ও মানুষিক অস্থির অবস্থায় ঠিক তখনই আদি সংকৃতি যাত্রা শিল্পি শুরুভি সাহা বিনা চিকিৎসা পড়ে আছে মেয়ের বাড়িতে।
মেয়ের বাড়ি উত্তর সাতপাই এলাকায় মেয়ের বাড়িতে রয়েছে মেয়ের শাশুড়ি দুই মেয়ে স্বামী অমল সরকার সামান্য কাঠ মিন্ত্রি আয় রোজগার করে চলে তার সংসার। একদিক থেকে কাজ নেই অন্য দিকে শ^শুরির প্যারালাইজড। একেবারেই পারছে না সংসার আর চিকিৎসা খরচ চালাতে। না পারছে কারো কাছে হাত পাততে না পারছে সহায়তা পেতে।
এই অবস্থায় ১ লা জুন যাত্রা উন্নয়ন পরিষদে সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল হক জনি স্থানীয় সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা এআরএফবি চেয়ারম্যান দিলওয়ার খানকে নিয়ে শুরুভি মেয়ের বাড়িতে চিকিৎসার খোঁজ-খবর দিতে গেলে শুরুভি সাহা অসুস্থ অবস্থায় আক্ষেপ করে বলে ‘চিকিৎসা নাই খাবার নাই কি করে বাচুম এর চেয়ে মরইরা যাওয়া ভাল’ বলে হাউমাউ করে কান্না করেছে। তার মেয়ে নুপুর সরকার এখন দূর্যোগের সময় না পারছি মাকে চিকিৎসা দিতে না পারছি সংসার চালাতে আমার চোখে আর কিছু দেখছি না।
সবার কাজে মার জন্য দোয়া চাই ও চিকিৎসা সহায়তা চাই। যাত্রা উন্নয়ন পরিষদে সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল হক জনি ২ জুন সকাল ১১টায় অসুস্থ শুরুভিকে নিয়ে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতলে চিকিৎসা ব্যবস্থা করেছেন। বর্তমানে তিনি আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুরুভি পরিবার এবং শুরুভি তার মায়ের সুচিকিৎসার জন্যে সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।