সরকারের কাছে পর্যাপ্ত ধান-চালের মজুত থাকায় দেশে দুর্ভিক্ষের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।মন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে প্রায় ১৬ লাখ টন চাল, ৩৭ হাজার টন ধান ও ১ লাখ ৬৯ টন গম মজুত আছে। এটা আমরা সাধারণত আশা করি, ১০-১২ লাখ থাকা উচিত। কার্তিক-আশ্বিন মাসে প্রায় ১৮ লাখ টন খুবই ভালো মজুত বলে আমি মনে করি।
কাজেই এ নিশ্চয়তা দিতে পারি, দেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।আমনের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে বলেও জানান তিনি।চালসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ পরিস্থিতিও খারাপ। খাদ্যে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের মানুষ একটি শঙ্কার মধ্যে আছে। মানুষ উদ্বিগ্ন যে সারা বিশ্বে একটা ব্যাপক মন্দা হতে পারে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। চলতি বছর ইংল্যান্ডের মতো দেশে ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা হয়েছে।
পুরো গমের খেত পুড়ে গেছে। অন্যান্য ফসলের ক্ষেতও পুড়ে গেছে। আমেরিকার মতো দেশেও খরা হয়েছে। এজন্য একটা আশঙ্কার কথা আসছে।আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সারা বিশ্বে সংকট সৃষ্টি হলে আমরা তো আলাদা নই। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সতর্ক বাণী দিয়েছেন। সাধারণ নাগরিকদেরও আমরা সচেতন করছি। কার্পেটের নিচে ধুলো লুকিয়ে রেখে লাভ হবে না। তাতে দেশ আরও বিপর্যয়ের দিকে যাবে।এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, চাল আমদানি উন্মুক্ত করা হলেও আমদানি করছেন না ব্যবসায়ীরা। গম প্রায় পুরোপুরি আমদানিনির্ভর হলেও, সেক্ষেত্রেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে
।আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চালসহ অন্যান্য পণ্যের দাম আর তেমন বাড়বে না। ১ থেকে ২ টাকা এদিক-সেদিক হতে পারে।সাধারণ মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে চালসহ কয়েকটি পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, পণ্যমূল্য কিছুটা বেশি হলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার আশঙ্কা নেই।