শিক্ষাগত যোগ্যতার মিথ্যা তথ্য সম্বলিত পোস্টার দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অবিভাবক সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দি¦তা করছেন সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ভূয়া ডাক্তার আক্কাস আলী।রোববার (১৬ অক্টোবর) তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।জানা গেছে, জস-খ্যাতি অর্জনের প্রত্যাশায় আসন্ন ঐতিহ্যবাহী গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অবিভাবক সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে মিথ্যা তথ্যে তৈরী ব্যানার পোস্টারে কয়েকগ্রাম ছেয়ে ফেলেছেন আক্কাস আলী। স্বল্প শিক্ষিত আক্কাস আলী পেশায় একজন ওষুধ বিক্রেতা। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি গোপালপুর বাজারে ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি রোগী দেখে চিকিৎসা বানিজ্য করে আসছেন।
রোগীদের আকৃষ্ট করতে নির্বাচনী পোস্টারে তিনি নিজেকে বিএ অনার্স পাস এবং ডাক্তার হিবেবে উল্লেখ করেছেন। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন ও জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বের সুযোগে এই অপকৌশল অবশেষে বুমেরাং হয়ে দাড়িয়েছে। অভিভাবকগণ বলছেন ভোট দেয়াতো দূরের কথা। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী- অভিভাবকগণ আক্কাস আলীকে ধিক্কার জানাচ্ছে।সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা দেছে, মিথ্যা প্রচারপত্রে এলাকা ছেয়ে গেছে।
এই নির্বাচনে অভিবাবকগন ভোটার হলেও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় তিনি পোষ্টার টাঙ্গিয়েছেন। আক্কাস আলীর ভূয়া প্রচারনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টির এক পর্যায় রোববার (১৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছে এলাকাবাসী।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিবাবক বলেন, আক্কাস ডাক্তার হলো কবে? সে তো ফার্মেসী মালিক। কয়েকদিন আগেও অনুমোদনহীন ওষধ বিক্রির দায়ে ১৫ হাজার টাকা জড়িমানা দিলেন। বিএ অনার্স পাশ করেছে কি বলতে পারবো না। তবে এইটুকু বলতে পারবো সে একজন সুদি মহাজন ও অর্থ লোলুপ।
অভিযোগকারী মো, আল-মামুন আজাদ বলেন, আক্কাস আলী এমবিবিএস পাশ করলে গ্রামের সবাই জানতো। কখনই তিনি বিএ অনার্স পাশ করেনি।এ বিষয়ে অভিযুক্ত আক্কাস আলী জানান, এই ধরনের কাজ করা ঠিক হয় নাই। আমার ভুল হয়েছে। আমি ডাক্তার নই। তরে রাজশাহীর মির্জাপুর কলেজ থেকে ২০০৩-৪ শিক্ষা বর্ষে রাস্ট্র বিজ্ঞানে অনার্স পাশ করেছি।এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আরা বলেন, আমি এখনও অভিযোগের কপি হাতে পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।